শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীন-রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কসেতুর নির্মাণকাজ শেষ

আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :=

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ঐতিহাসিক সড়কসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আমুর নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি রাশিয়ার ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সঙ্গে চীনের হেইহে অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে।

রাশিয়া জানিয়েছে, ২০২০ সালের শেষের দিকে যান চলাচলের জন্য এই সেতুকে খুলে দেওয়া হবে। সেতুটি তৈরিতে ব্যয় হয় সাড়ে ২৯ কোটি ডলার (১৮.৮ বিলিয়ন রুবল)। হেইলংজিয়াং নদীর ওপর তৈরি ১০৮০ মিটার দৈর্ঘ্যর এ সেতুর চীনে ৫৪০ মিটার ও রাশিয়ায় ৫৪০ মিটার পড়েছে। সেতুর সঙ্গে আরও ২০ কিলোমিটারের নতুন রাস্তা নির্মাণ করেছে একটি রুশ এবং চীনা কোম্পানি।

রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, এই সেতু তৈরির জন্য ১৯৮৮ সালে প্রথম চীন ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯৫ সালে চীন ও রাশিয়া একটি চুক্তি করে। এরপর ২০১৬ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি ওর্লোভ বলেন, ‘আমরা একটি নতুন আন্তর্জাতিক পরিবহন করিডর তৈরি করছি। এটি আমাদের সম্ভাব্য ট্রানজিটে পৌঁছতে সাহায্য করবে।’

ডাচ্ স্থাপত্যবিদদের নকশায় সীমান্ত অতিক্রমকারী ‘কেবল কার’ ইউএনস্টুডিও (তারের ওপর ভর করে চলা গাড়ি) ২০২০ সালে হেইহি ও ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সংযোগ স্থাপনকারী সেতুতে চালু হবে। এই কেবল কারে চড়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে মাত্র সাড়ে সাত মিনিট সময় লাগবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

চীন-রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কসেতুর নির্মাণকাজ শেষ

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :=

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ঐতিহাসিক সড়কসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আমুর নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি রাশিয়ার ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সঙ্গে চীনের হেইহে অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে।

রাশিয়া জানিয়েছে, ২০২০ সালের শেষের দিকে যান চলাচলের জন্য এই সেতুকে খুলে দেওয়া হবে। সেতুটি তৈরিতে ব্যয় হয় সাড়ে ২৯ কোটি ডলার (১৮.৮ বিলিয়ন রুবল)। হেইলংজিয়াং নদীর ওপর তৈরি ১০৮০ মিটার দৈর্ঘ্যর এ সেতুর চীনে ৫৪০ মিটার ও রাশিয়ায় ৫৪০ মিটার পড়েছে। সেতুর সঙ্গে আরও ২০ কিলোমিটারের নতুন রাস্তা নির্মাণ করেছে একটি রুশ এবং চীনা কোম্পানি।

রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, এই সেতু তৈরির জন্য ১৯৮৮ সালে প্রথম চীন ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯৫ সালে চীন ও রাশিয়া একটি চুক্তি করে। এরপর ২০১৬ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি ওর্লোভ বলেন, ‘আমরা একটি নতুন আন্তর্জাতিক পরিবহন করিডর তৈরি করছি। এটি আমাদের সম্ভাব্য ট্রানজিটে পৌঁছতে সাহায্য করবে।’

ডাচ্ স্থাপত্যবিদদের নকশায় সীমান্ত অতিক্রমকারী ‘কেবল কার’ ইউএনস্টুডিও (তারের ওপর ভর করে চলা গাড়ি) ২০২০ সালে হেইহি ও ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সংযোগ স্থাপনকারী সেতুতে চালু হবে। এই কেবল কারে চড়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে মাত্র সাড়ে সাত মিনিট সময় লাগবে।