কালিপদ দাস : কোলকাতা ব্যুরো :=
পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া তরুণীর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে বেকায়দা পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মন্ত্রীদের। শনিবার নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এলাকার মানুষের রোষের মুখে পড়তে হয় তাদের।
শুক্রবার রাত ১১ টা ৪০ নাগাদ দিল্লির হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ২৩ বছরের ওই তরুণীর। উন্নাওয়ের ওই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ তার মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রী কমল রানি বরুণ এবং স্বামী প্রসাদ মৌর্যকে নির্দেশ দেন রাজ্যের রাজধানী লখনউ থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে উন্নাওয়ের গ্রামে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য।
গত বৃহস্পতিবার উন্নাওয়ের ওই নিগৃহীতা যখন আদালতে যাচ্ছিলেন, সেই সময়েই তার ওপর হামলা করে ৫ দুর্বৃত্ত, যাদের মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত ২ ব্যক্তিও ছিলেন। তার গায়ে আগুন লাগিয়ে ঘটনাস্থলেই মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
৯০ শতাংশ পুড়ে যান ওই ধর্ষিতা, আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। এদিন মন্ত্রীদের গ্রামে দেখে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সেখানকার পুলিশ।