শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাতীবান্ধায় রাসেল সীড ভুট্টা কোম্পানির বিরুদ্ধে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণার মামলা

মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফা  : লালমনিরহাট := 
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ভুট্টা কোম্পানি রাসেল সীডের বিরুদ্ধে স্বার জাল এবং ব্যাংক আরটিএস এর মাধ্যমে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে লালমনিরহাট আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভুগী।

চলতি বছরের ৯ নভেম্বর ভুট্টা বীজ কোম্পানি রাসেল সীডের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী (৫৬) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও হাতীবান্ধা মার্কেটিং অফিসার মাহবুবুর (৩৫), এরিয়া ম্যানেজার শাহিনুর ইসলাম কিবরিয়া (৩৮) নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজারের মেসার্স রাইসা সার ঘরের মালিক হাবিবুর রহমান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাসেল সীডের ভুট্টা বীজ ডিলার শিপ গ্রহণ করলে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বার এবং ২০ ফাঁকা চেক গ্রহণ করিতে হবে। এই মর্মে ডিলারশিপ প্রদান করা হবে।

২০১৫ সাল হইতে ভুট্টার বীজ বিক্রয় শুরু করেন মেসার্স রাইসা সার ঘরের মালিক হাবিবুর রহমান। ১ নং আসামী নগদ টাকা পেমেন্ট করলেও টাকা তারা নির্দিষ্ট লেজার বুকে না ওঠে আত্মসাৎ করতে থাকেন। এর পর ৯ ল টাকা ভুট্টার আগাম বুকিং এর টাকা কোম্পানির লেজার বুকে না লিখিয়ে নিজে আত্মসাৎ করতে শুরু করেন। এভাবে প্রায় ১৭ ল টাকা লেজার বইয়ে না উঠিয়ে আত্মসাত করেন। ১৭ লক্ষ টাকার বীজ সমপরিমান টাকা ফেরত চাইলে আসামীগণ টাকা কথা স্বীকার করে শুরু করেন। উপরোক্ত তারাই টাকা দাবী করেন।
এমত অবস্থায় কোম্পানির লোকজন পূর্বের ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বার ও ২০ পাতা চেক বই তাদের কাছে আছে বলে আসামীগন হুমকি প্রদান করে মামলা দিয় কোম্পানির টাকা আদায় করার হুমকি প্রদান করেন। বাদী মেসার্স রাইসা সার ঘরের মালিক হাবিবুর রহমানের স্বার জাল,ব্যাংক আরটিএস এর মাধ্যমে কোম্পানির লোকজন প্রায় ১৭ ল টাকা তুলে নেন। এ ঘটনার পর বাদী আদালতে গিয়ে মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী হাবিবুর রহমান ২০টি চেকের পাতা ও ফাঁকা স্টাম্প উদ্ধারের জন্য চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর লালমনিরহাট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাতীবান্ধা মার্কেটিং অফিসার মাহবুবুর (৩৫), এরিয়া ম্যানেজার শাহিনুর ইসলাম কিবরিয়া (৩৮) নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজারের মেসার্স রাইসা সার ঘরের মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, ১৭ লক্ষ টাকা পাওয়ার ওই রাসেল সীড কোম্পনি মালামাল সরবারহ বন্ধ করে দেন। এতে আমি ক্ষতি গ্রহস্থ হয়ে পড়েছি। এখন আমি নিরুপায়। আদালতে ১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধারের জন্য মামলা করেছি যেন আদালক যে সঠিক সমাধান প্রদান করেন।

রাসেল সীড ভুট্টা বীজের এরিয়া ম্যানেজার শাহিনুর ইসলাম কিবরিয়া বলেন, মেসার্স রাইসা সার ঘরের অভিযোগ ভিত্তিহিন আমার কোম্পানি তার কাছে টাকা পাবেন বলে তিনি দাবী করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ,গাইবান্ধার জেলার ভুট্টা বীজ কোম্পানি রাসেল সীডের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বলেন, আদালতে মামলার বিষয়টি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

হাতীবান্ধায় রাসেল সীড ভুট্টা কোম্পানির বিরুদ্ধে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণার মামলা

প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফা  : লালমনিরহাট := 
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ভুট্টা কোম্পানি রাসেল সীডের বিরুদ্ধে স্বার জাল এবং ব্যাংক আরটিএস এর মাধ্যমে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে লালমনিরহাট আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভুগী।

চলতি বছরের ৯ নভেম্বর ভুট্টা বীজ কোম্পানি রাসেল সীডের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী (৫৬) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও হাতীবান্ধা মার্কেটিং অফিসার মাহবুবুর (৩৫), এরিয়া ম্যানেজার শাহিনুর ইসলাম কিবরিয়া (৩৮) নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজারের মেসার্স রাইসা সার ঘরের মালিক হাবিবুর রহমান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাসেল সীডের ভুট্টা বীজ ডিলার শিপ গ্রহণ করলে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বার এবং ২০ ফাঁকা চেক গ্রহণ করিতে হবে। এই মর্মে ডিলারশিপ প্রদান করা হবে।

২০১৫ সাল হইতে ভুট্টার বীজ বিক্রয় শুরু করেন মেসার্স রাইসা সার ঘরের মালিক হাবিবুর রহমান। ১ নং আসামী নগদ টাকা পেমেন্ট করলেও টাকা তারা নির্দিষ্ট লেজার বুকে না ওঠে আত্মসাৎ করতে থাকেন। এর পর ৯ ল টাকা ভুট্টার আগাম বুকিং এর টাকা কোম্পানির লেজার বুকে না লিখিয়ে নিজে আত্মসাৎ করতে শুরু করেন। এভাবে প্রায় ১৭ ল টাকা লেজার বইয়ে না উঠিয়ে আত্মসাত করেন। ১৭ লক্ষ টাকার বীজ সমপরিমান টাকা ফেরত চাইলে আসামীগণ টাকা কথা স্বীকার করে শুরু করেন। উপরোক্ত তারাই টাকা দাবী করেন।
এমত অবস্থায় কোম্পানির লোকজন পূর্বের ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বার ও ২০ পাতা চেক বই তাদের কাছে আছে বলে আসামীগন হুমকি প্রদান করে মামলা দিয় কোম্পানির টাকা আদায় করার হুমকি প্রদান করেন। বাদী মেসার্স রাইসা সার ঘরের মালিক হাবিবুর রহমানের স্বার জাল,ব্যাংক আরটিএস এর মাধ্যমে কোম্পানির লোকজন প্রায় ১৭ ল টাকা তুলে নেন। এ ঘটনার পর বাদী আদালতে গিয়ে মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী হাবিবুর রহমান ২০টি চেকের পাতা ও ফাঁকা স্টাম্প উদ্ধারের জন্য চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর লালমনিরহাট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাতীবান্ধা মার্কেটিং অফিসার মাহবুবুর (৩৫), এরিয়া ম্যানেজার শাহিনুর ইসলাম কিবরিয়া (৩৮) নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজারের মেসার্স রাইসা সার ঘরের মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, ১৭ লক্ষ টাকা পাওয়ার ওই রাসেল সীড কোম্পনি মালামাল সরবারহ বন্ধ করে দেন। এতে আমি ক্ষতি গ্রহস্থ হয়ে পড়েছি। এখন আমি নিরুপায়। আদালতে ১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধারের জন্য মামলা করেছি যেন আদালক যে সঠিক সমাধান প্রদান করেন।

রাসেল সীড ভুট্টা বীজের এরিয়া ম্যানেজার শাহিনুর ইসলাম কিবরিয়া বলেন, মেসার্স রাইসা সার ঘরের অভিযোগ ভিত্তিহিন আমার কোম্পানি তার কাছে টাকা পাবেন বলে তিনি দাবী করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ,গাইবান্ধার জেলার ভুট্টা বীজ কোম্পানি রাসেল সীডের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বলেন, আদালতে মামলার বিষয়টি।