শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন

বিশেষ প্রতিনিধি :=

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে জনগণের ভো’গান্তি ও জনসেবা লাভে হয়রা’নি বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনহয়রা’নি বন্ধের জন্য তাঁর কার্যালয়ে একটি বিশেষ সেল করা হচ্ছে। একজন মহাপরিচালকের নেতৃত্বে সেলের সঙ্গে একটি টেলিফোন নাম্বার থাকবে। যেই নাম্বারে জনভোগা’ন্তির শিকা’র যে কোনো নাগরিক টেলিফোন করে তার অভিযোগ বলতে পারবেন।

একটা অটো হান্টিং টেলিফোন নাম্বারে প্রথম পর্যায়ে যে ১১টা বিষয়ে অভিযোগ করা যাবে, তা হলো:

১. স্বাস্থ্যসেবা লাভে হয়রা’নি। ২. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সেবা লাভের ক্ষেত্রে হয়রা’নি। ৩. সরকারী কোনো অফিসে হয়রা’নি। ৪. তথ্য অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে হয়রা’নি। ৫. দুর্নীতি দমন কমিশনে হয়রা’নি। ৬. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর সেবা লাভের ক্ষেত্রে হয়রা’নি। ৭. ভূমি অফিসে বিভিন্ন সেবা লাভে হয়রা’নি। ৮. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অফিসে আয়কর বা অন্যান্য ক্ষেত্রে হয়রা’নি। ৯. শিল্প ও বাণিজ্য স্থাপনা সংক্রান্ত হয়রা’নি। ১০. বিদ্যুৎ বিল ও বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে হয়রা’নি। ১১. পানি এবং ওয়াসা সংক্রান্ত হয়রা’নি।

এ সমস্ত হয়রা’নির শিকা’র যে কোনো ভিক্টিম থেকে কোন অভিযোগ পেলে বা সেবার মান খারাপ হলে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর কাজে গাফি’লতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি নাম্বরে ফোন করতে পারবেন। ফোন করে সংক্ষিপ্তভাবে তিনি তার অভিযোগটি বর্ণনা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে তাৎক্ষণিকভাবে এর প্র’তিকারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী টানা ৩য় বারের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে জনকল্যানমুখী এবং জনবান্ধবমুখী একটা সরকার ব্যবস্থা তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম দুর্নীতি বন্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা এবং জনগণ যেন কোন সেবা লাভে ভোগা’ন্তি বা হয়রা’নির শিকা’র না হন। একারণেই জনসেবার মান যেন উন্নত হয়, মন্ত্রণালয় যেন জবাবদিহিতার আওতায় আসে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সেবা নিতে গিয়ে যেন জনগণ হয়রা’নির শিকা’র না হয়। সে কারণেই অভিযোগ কেন্দ্র করা হচ্ছে। যেখানে জনসেবা লাভে হয়রা’নি বা ভিক্টিমরা অভিযোগ জানাতে পারবেন।

অটো হান্টিং টেলিফোন নাম্বারটি চালু হওয়ার বহু আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলার জন্য কয়েকটি বিশেষ নাম্বার রয়েছে। নাম্বারগুলো হলো: +8801555888555, +8801711520000 এবং +8801819260371। এই নাম্বারগুলো ছাড়াও সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দেয়ার জন্য রয়েছে একটি বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা পাঠান

প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রগুলো বলছে, শুধু টেলিফোনে অভিযোগই নয়। চিঠি লিখেও তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে পারবেন। তবে এই ধরনের অভিযোগের নামে যেন কোন রকম বাড়াবাড়ি না হয়। প্রতিহিং’সার বশবর্তী হয়ে কেউ যেন ভিত্তিহীন এবং অ-সত্য অভিযোগ না করে, সেজন্য ব্যবস্থা রাখা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। সেইজন্যই এখানে নাম ঠিকানা দিয়ে অভিযোগ করতে হবে। আর এখানে ৩য় পক্ষের অভিযোগ রাখার কোন সুযোগ হবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

শুধুমাত্র ভিক্টিমরাই এখানে আবেদন করেতে পারবেন। তার যে হয়রা’নির বিবরণ সেটাই উল্লেখ করতে হবে। অন্য কোনো ঘটনা বা সাধারণ দুর্নীতি বা কর্তব্যে গাফি’লতি এই চিঠির মধ্যে দেওয়া যাবে না। ব্যাক্তিগত হয়রা’নি এবং সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিব’ন্ধকতার অভিযোগই শুধুমাত্র করা যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে যে, এই ব্যাপারে একটি সফটওয়্যার তৈরীর কাজ চলছে। যেটা করছে এটুআই। এটা সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
বিশেষ প্রতিনিধি :=

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে জনগণের ভো’গান্তি ও জনসেবা লাভে হয়রা’নি বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনহয়রা’নি বন্ধের জন্য তাঁর কার্যালয়ে একটি বিশেষ সেল করা হচ্ছে। একজন মহাপরিচালকের নেতৃত্বে সেলের সঙ্গে একটি টেলিফোন নাম্বার থাকবে। যেই নাম্বারে জনভোগা’ন্তির শিকা’র যে কোনো নাগরিক টেলিফোন করে তার অভিযোগ বলতে পারবেন।

একটা অটো হান্টিং টেলিফোন নাম্বারে প্রথম পর্যায়ে যে ১১টা বিষয়ে অভিযোগ করা যাবে, তা হলো:

১. স্বাস্থ্যসেবা লাভে হয়রা’নি। ২. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সেবা লাভের ক্ষেত্রে হয়রা’নি। ৩. সরকারী কোনো অফিসে হয়রা’নি। ৪. তথ্য অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে হয়রা’নি। ৫. দুর্নীতি দমন কমিশনে হয়রা’নি। ৬. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর সেবা লাভের ক্ষেত্রে হয়রা’নি। ৭. ভূমি অফিসে বিভিন্ন সেবা লাভে হয়রা’নি। ৮. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অফিসে আয়কর বা অন্যান্য ক্ষেত্রে হয়রা’নি। ৯. শিল্প ও বাণিজ্য স্থাপনা সংক্রান্ত হয়রা’নি। ১০. বিদ্যুৎ বিল ও বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে হয়রা’নি। ১১. পানি এবং ওয়াসা সংক্রান্ত হয়রা’নি।

এ সমস্ত হয়রা’নির শিকা’র যে কোনো ভিক্টিম থেকে কোন অভিযোগ পেলে বা সেবার মান খারাপ হলে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর কাজে গাফি’লতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি নাম্বরে ফোন করতে পারবেন। ফোন করে সংক্ষিপ্তভাবে তিনি তার অভিযোগটি বর্ণনা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে তাৎক্ষণিকভাবে এর প্র’তিকারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী টানা ৩য় বারের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে জনকল্যানমুখী এবং জনবান্ধবমুখী একটা সরকার ব্যবস্থা তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম দুর্নীতি বন্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা এবং জনগণ যেন কোন সেবা লাভে ভোগা’ন্তি বা হয়রা’নির শিকা’র না হন। একারণেই জনসেবার মান যেন উন্নত হয়, মন্ত্রণালয় যেন জবাবদিহিতার আওতায় আসে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সেবা নিতে গিয়ে যেন জনগণ হয়রা’নির শিকা’র না হয়। সে কারণেই অভিযোগ কেন্দ্র করা হচ্ছে। যেখানে জনসেবা লাভে হয়রা’নি বা ভিক্টিমরা অভিযোগ জানাতে পারবেন।

অটো হান্টিং টেলিফোন নাম্বারটি চালু হওয়ার বহু আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলার জন্য কয়েকটি বিশেষ নাম্বার রয়েছে। নাম্বারগুলো হলো: +8801555888555, +8801711520000 এবং +8801819260371। এই নাম্বারগুলো ছাড়াও সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দেয়ার জন্য রয়েছে একটি বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা পাঠান

প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রগুলো বলছে, শুধু টেলিফোনে অভিযোগই নয়। চিঠি লিখেও তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে পারবেন। তবে এই ধরনের অভিযোগের নামে যেন কোন রকম বাড়াবাড়ি না হয়। প্রতিহিং’সার বশবর্তী হয়ে কেউ যেন ভিত্তিহীন এবং অ-সত্য অভিযোগ না করে, সেজন্য ব্যবস্থা রাখা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। সেইজন্যই এখানে নাম ঠিকানা দিয়ে অভিযোগ করতে হবে। আর এখানে ৩য় পক্ষের অভিযোগ রাখার কোন সুযোগ হবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

শুধুমাত্র ভিক্টিমরাই এখানে আবেদন করেতে পারবেন। তার যে হয়রা’নির বিবরণ সেটাই উল্লেখ করতে হবে। অন্য কোনো ঘটনা বা সাধারণ দুর্নীতি বা কর্তব্যে গাফি’লতি এই চিঠির মধ্যে দেওয়া যাবে না। ব্যাক্তিগত হয়রা’নি এবং সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিব’ন্ধকতার অভিযোগই শুধুমাত্র করা যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে যে, এই ব্যাপারে একটি সফটওয়্যার তৈরীর কাজ চলছে। যেটা করছে এটুআই। এটা সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।