
আবারও সাবেক নৌমন্ত্রী ও সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করলেন মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘শাজাহান খানকে আমি আওয়ামী লীগ নেতা মনেই করি না। আমি এখনও উনাকে জাসদ নেতাই মনে করি। আমাকে ফরিদপুর-৪ আসনের জনগণ বড় স্বপ্ন নিয়ে ভোট দিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা সব কিছু দেখব বলেই আমাকে ভোট দিয়েছে।’ বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন’র এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন ফরিদপুর-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য।
শাজাহান খান জাসদের জন্য নিজের বাবার বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন উল্লেখ করে মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘উনার নির্বাচনী এলাকায় যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা এক জনকে মনোনীত করলেন, তখন উনি আপন ভাইকে স্বতন্ত্র দাঁড় করিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান করে নিয়ে আসলেন। তখন কি উনার নৌকার জন্য দরদ ছিল না? আসলে উনার রাজনৈতিক ব্যাপারে শুধু আমি ভিকটিম না, সারা বাংলাদেশের মানুষ ভিকটিম।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাজাহান খানের শরীর থেকে এখনও জাসদের গন্ধ যায়নি। উনি গণবাহিনী করতেন। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম উনি গণবাহিনী করতেন। বইয়ে লেখা আছে উনি গণবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। আমি একজন স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তির বিপক্ষে ইলেকশন করেছি। দুই দুইবার জনগণ রায় দিয়েছে স্বাধীনতার বিরোধীর বিপক্ষে। আমার পক্ষে রায় দিয়েছে।’
সাবেক নৌমন্ত্রীর সম্পদ যাচাই করে দেখার কথা উল্লেখ করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘মাদারীপুরে তিনি ১০ তলা বিল্ডিং বানিয়েছেন অনুমতি ছাড়া। আজকে নৌমন্ত্রী হওয়ার পর উনার চাচার ঘরের দাদা কোটি কোটি টাকার মালিক। আজকে ‘সার্বিক’ বাসের মালিক তারা। পেট্রোল পাম্পের মালিক। তার ১০ বছর আগে কিছু ছিল না। আজকে তার সম্পত্তি কি হয়েছে! বিদেশে হসপিটাল বানাচ্ছে কোটি কোটি টাকা দিয়ে। আমার তো মনে হয় তার সম্পত্তি ১০ বছর আগে কি ছিল, এখন কি হয়েছে সেটা দেখা উচিৎ।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho