শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার কারণে যুদ্ধ হতে পারে, মোদিকে ইমরানের হুঁশিয়ারি

দেবুল কুমার দাস :=

পরমাণু হুমকির মুখে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি মোদির হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বিপুল রক্তপাত এবং বিশ্বের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, নাৎসি জার্মানির মতো মোদির ভারতেও ভিন্নমতকে কোণঠাসা করা হয়েছে। বিশ্বকে এখন খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই মোদির ভারতের রক্তপাত ও যুদ্ধের হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা রুখতে এগিয়ে আসতে হবে। বুধবার ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে ইমরান খান এই মন্তব্য করেন। এই বিলের ফলে ভারত সরকার ২০১৫ সালের আগে প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে অবৈধভাবে আসা লাখ লাখ অমুসলিমকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে। গত মে মাসে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পরে মোদি সরকার বলছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে মুসলিমরা নির্যাতিত হয় না বলে তাদেরকে রাখা হয়নি।

টুইটারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে ভারত পরিকল্পিতভাবে হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে। এ বিল হলো মোদির হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের আরেক চেষ্টা, যা শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে দখল করা এবং সেখানে অবরোধ অব্যাহত রাখা, আসামের নাগরিকত্ব থেকে ২০ লাখ ভারতীয় মুসলিমকে বাদ দেয়া। এগুলোর পাশাপাশি আছে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নাৎসি জার্মানির প্রচারিত শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডার প্রতি নতজানুর ফলেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটেছিল।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু, জৈন, পার্সি ও শিখদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব মঞ্জুর করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে এই সুযোগ দেয়া হয়নি।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, এটি মুসলিমবিরোধী নয়। কারণ সব সম্প্রদায়ের জন্য বিদ্যমান নাগরিকত্ব বিধানটিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই আইনটি ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধ করা হয়েছে এবং তা ভারতের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার কারণে যুদ্ধ হতে পারে, মোদিকে ইমরানের হুঁশিয়ারি

প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
দেবুল কুমার দাস :=

পরমাণু হুমকির মুখে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি মোদির হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বিপুল রক্তপাত এবং বিশ্বের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, নাৎসি জার্মানির মতো মোদির ভারতেও ভিন্নমতকে কোণঠাসা করা হয়েছে। বিশ্বকে এখন খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই মোদির ভারতের রক্তপাত ও যুদ্ধের হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা রুখতে এগিয়ে আসতে হবে। বুধবার ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে ইমরান খান এই মন্তব্য করেন। এই বিলের ফলে ভারত সরকার ২০১৫ সালের আগে প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে অবৈধভাবে আসা লাখ লাখ অমুসলিমকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে। গত মে মাসে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পরে মোদি সরকার বলছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে মুসলিমরা নির্যাতিত হয় না বলে তাদেরকে রাখা হয়নি।

টুইটারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে ভারত পরিকল্পিতভাবে হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে। এ বিল হলো মোদির হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের আরেক চেষ্টা, যা শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে দখল করা এবং সেখানে অবরোধ অব্যাহত রাখা, আসামের নাগরিকত্ব থেকে ২০ লাখ ভারতীয় মুসলিমকে বাদ দেয়া। এগুলোর পাশাপাশি আছে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নাৎসি জার্মানির প্রচারিত শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডার প্রতি নতজানুর ফলেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটেছিল।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু, জৈন, পার্সি ও শিখদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব মঞ্জুর করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে এই সুযোগ দেয়া হয়নি।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, এটি মুসলিমবিরোধী নয়। কারণ সব সম্প্রদায়ের জন্য বিদ্যমান নাগরিকত্ব বিধানটিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই আইনটি ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধ করা হয়েছে এবং তা ভারতের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।