শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ, অধিকাংশ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ

নুরুজ্জামান লিটন :=

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, টানা তৃতীয় দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে রেল পথ অবরোধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

রোববার পর্যন্ত মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট।

শনিবার মুর্শিদাবাদের লালগোলা স্টেশনে পাঁচটি ফাঁকা ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। হাওড়ায় ভাঙচুর চালানো হয় ১০-১৫টি বাসে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বারবার অনুরোধ ও নির্দেশনা (মমতা এর আগে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান) সত্ত্বেও ‘কিছু বহিরাগত গোষ্ঠী বিক্ষোভে অনুপ্রবেশ করে সহিংসতার উস্কানি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্ররোচিত করার মাধ্যমে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।’

বিবৃতিতে উল্লিখিত যুক্তি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বলছে, পরিস্থিতি এমন রূপ ধারণ করার প্রেক্ষিতে সরকারের হাতে অন্য কোনো উপায় না থাকায় ছয় জেলা ও মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বিক্ষোভে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ, অধিকাংশ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ

প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
নুরুজ্জামান লিটন :=

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, টানা তৃতীয় দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে রেল পথ অবরোধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

রোববার পর্যন্ত মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট।

শনিবার মুর্শিদাবাদের লালগোলা স্টেশনে পাঁচটি ফাঁকা ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। হাওড়ায় ভাঙচুর চালানো হয় ১০-১৫টি বাসে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বারবার অনুরোধ ও নির্দেশনা (মমতা এর আগে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান) সত্ত্বেও ‘কিছু বহিরাগত গোষ্ঠী বিক্ষোভে অনুপ্রবেশ করে সহিংসতার উস্কানি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্ররোচিত করার মাধ্যমে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।’

বিবৃতিতে উল্লিখিত যুক্তি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বলছে, পরিস্থিতি এমন রূপ ধারণ করার প্রেক্ষিতে সরকারের হাতে অন্য কোনো উপায় না থাকায় ছয় জেলা ও মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।