
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, দেশজুড়ে চলমান বিভক্তি ও সহিংসতার জনক মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুজন মিলে এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে ভারতের মানুষের বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে নেমেছে বিজেপি। খবর এনডিটিভির।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সোনিয়া গান্ধী।এতে তিনি বলেন, স্পষ্টতই রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি জনগণের মধ্যে ধর্মের ইস্যু তৈরি করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চেয়েছে। সরকারের কাজ জনগণের ঐক্য ধরে রেখে সুশাসন কায়েম ও সংবিধানের সুরক্ষা দান। সেখানে সরকার নিজেই ঘৃণা ছড়ানোর মাধ্যমে বিভক্তি ও সহিংসতা উসকে দিচ্ছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে চলা আন্দোলনের মাধ্যমে বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। তিনি আরও বলেন- আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় জ্বলছে। শুধু আসামেই চার তরুণকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।
অবস্থা এতটাই বেগতিক যে, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফর করতে সাহস পাননি। এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেছেন। বিবৃতিতে সোনিয়া গান্ধী বলেন, শিক্ষার্থীরা ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন; কিন্তু সবসময়ই সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সন্ত্রাসী, মাওবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, অর্থনীতির রেকর্ডভাঙা দুরাবস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল এসব কিছুর তোয়াক্কা না করেই সরকার নিজেই আরও নতুন নতুন সমস্যার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। মোদির সরকার ভারত শাসনে ব্যর্থ হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho