শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীরবতা ভেঙে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা বললেন মোদি

আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :=

ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আন্দোলন নতুন মাত্রা পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভেঙে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দুর্ভাগ্যজনক। এখন শান্তি, একতা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার সময়। খবর এনডিটিভির।

দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ ও কলকাতাসহ গোটা ভারতজুড়ে নাগরিকত্ব আইনটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। সোমবার দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহতও হয়েছেন। বিক্ষোভ-সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। নতুন এ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে বাস করা অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।

অবৈধভাবে বাস করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত হবে না। মুসলিম ছাড়া হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের শরণার্থীরা এ সুবিধা পাবেন। কিন্তু মুসলিম শরণার্থীদের এ সুবিধা নেই। তাই আইনটি মুসলিমবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক বলে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকার রাজ্যগুলোর বাসিন্দাদের আশঙ্কা এ আইনের ফলে তাদের অঞ্চলগুলোতে বিদেশি শরণার্থীর ঢল নামবে।

তবে সোমবারের টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোনো ভারতীয়ের সঙ্গে অবিচার করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেন, এ আইন নিয়ে কোনো ভারতীয়র চিন্তার কারণ নেই। কয়েক বছর ধরে নিপীড়নের শিকার হওয়া বিদেশি, যাদের ভারত ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই, এ আইন শুধু তাদের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

নীরবতা ভেঙে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা বললেন মোদি

প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :=

ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আন্দোলন নতুন মাত্রা পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভেঙে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দুর্ভাগ্যজনক। এখন শান্তি, একতা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার সময়। খবর এনডিটিভির।

দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ ও কলকাতাসহ গোটা ভারতজুড়ে নাগরিকত্ব আইনটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। সোমবার দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহতও হয়েছেন। বিক্ষোভ-সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। নতুন এ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে বাস করা অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।

অবৈধভাবে বাস করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত হবে না। মুসলিম ছাড়া হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের শরণার্থীরা এ সুবিধা পাবেন। কিন্তু মুসলিম শরণার্থীদের এ সুবিধা নেই। তাই আইনটি মুসলিমবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক বলে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকার রাজ্যগুলোর বাসিন্দাদের আশঙ্কা এ আইনের ফলে তাদের অঞ্চলগুলোতে বিদেশি শরণার্থীর ঢল নামবে।

তবে সোমবারের টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোনো ভারতীয়ের সঙ্গে অবিচার করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেন, এ আইন নিয়ে কোনো ভারতীয়র চিন্তার কারণ নেই। কয়েক বছর ধরে নিপীড়নের শিকার হওয়া বিদেশি, যাদের ভারত ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই, এ আইন শুধু তাদের জন্য।