মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের জন্য সরকারী ভাবে সম্মানি ভাতা দেয়ার দাবি

আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :=

বাংলাদেশে বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৮কোটির মতো, নিরাপত্তায় কাজ করছেন প্রায় ২ লক্ষাধিক পুলিশ সদস্য। সাংবাদিকদের সংখ্যাও খুব একটা বেশি নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাংবাদিকরাও সবসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করছেন। পুলিশের চেয়ে কম কাজ করেন না সংবাদ কর্মীরা।
বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে কিছু প্রতারক আছে তাদের কথা নাই বললাম কিন্তু যারা প্রায় প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে মানবতার কল্যাণে দেশের স্বার্থে কাজ করছেন তারা কেন সম্মানজনক স্থানে যাবেনা? সাংবাদিকরা যে বেতন ভাতা বা কমিশন পেয়ে থাকেন এতে খুব কষ্টে জীবনযাপন করতে হয় তাদের, তাই এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক চৌকস পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধিঃ দৈনিক নতুন বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও “ন্যাশনাল জার্নালিস্ট ইউনিটি (সাভার উপজেলা) এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ বিভিন্ন সময় সাংবাদিক নেতাদের সাথে আলোচনায় মন্তব্য করেন যে, প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে তালিকা করে সরকারিভাবে সম্মানি ভাতা দেওয়া হলে সাংবাদিকরা এই মহান পেশায় আসতে আরও আগ্রহী হবেন।অনেকেই বলেন, তুলনামূলক ভাবে রাত দিন ২৪ ঘন্টা খুব কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ ও সাংবাদিকরা। কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোক অনেক সময় পুলিশ ও সাংবাদিকদেরকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে থাকে যে, তা আমাদের মুখে বলতেও লজ্জা লাগে।
১০-১২ বছর আগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম কর্মী অর্থাৎ সাংবাদিক আর বর্তমান সময় একরকম নয়। বর্তমানে গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়া সংস্থায় যারা কাজ করছেন, তারা সবাই সাহসী ও সততার সাথে কাজ করছেন। তবে হে, যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের সামান্য কিছু ভুল হতেই পারে বলে অনেকেরই অভিমত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যওসাংবাদিকরা যদি কেনো দুষ্টু লোকের ভয় পায়, তাহলে তারা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন না। অনেকেই জানান, বিদেশেরতুলনায়বাংলাদেশের মানুষ অনেকটা শান্তি প্রিয়, বর্তমান সরকার সুনামের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। আর যারা সরকারী বাহিনী ও বিভিন্ন মিডিয়ায় দায়িত্ব পালন করছেন যারা, তারা ভালো মানুষ বলেই আল্লাহ্ তাদেরকে পছন্দ মতো কাজ দিয়েছেন। যে যাই বলেন, বা মন্তব্য করেন, এতেআমাদের কারো কোনো কিছু যায় আসেনা। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবো এটাই আমাদের মূলত লক্ষ্য, কেই খারাপ মন্তব্য করলে,সে যেই হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না, ওই সকল ব্যক্তি দেশ ও জাতির শক্র। তবে আমাদের মধ্যে কিছু দুষ্টুলোক আছে, যাদের ব্যবহার খারাপ, ভাষাও ভালো না, কার সাথে কেমন ভাষায় কথা বলতে হয় তারা জানেনা। এর কারণও রয়েছে, কম পড়া লেখা জানা, ব্যক্তিগতভাবে পরিবারের বড়দের ব্যবহার ও ভাষা দেখে তারা যা শিক্ষা নিয়েছেন এরচেয়ে বেশি তাদের কাছে আশা করা যায় না। এসব দুষ্টু প্রকৃতিরব্যক্তিদের থেকে দুরে থাকবেন সবাই আর বেশি বাড়লে, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে কোনো কর্মকান্ড করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অনুরোধ করছি, সাংবাদিক বা পুলিশ নিয়ে কেউ খারাপ মন্তব্য করবেন না, সবাই কিন্তু খারাপ নয়। এর আগে র‌্যাবের মহাপরিচালকবেনজীর আহমেদসহ অনেকেই ঘোষণা দিয়েছেন, প্রকৃত সাংবাদিকদের দিকে কেউ খারাপ দৃষ্টিতে তাকালে তাদের চোখ তুলে ফেলা হবে। আমি আবার বলছি, প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে সরকারি ভাবে সম্মানি ভাতা দিলে সরকারের জন্যও ভালো সাংবাদিকরাও আগ্রহী হয়ে সাংবাদিকতা করবে। এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সাংবাদিকদের জন্য সরকারী ভাবে সম্মানি ভাতা দেয়ার দাবি

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :=

বাংলাদেশে বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৮কোটির মতো, নিরাপত্তায় কাজ করছেন প্রায় ২ লক্ষাধিক পুলিশ সদস্য। সাংবাদিকদের সংখ্যাও খুব একটা বেশি নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাংবাদিকরাও সবসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করছেন। পুলিশের চেয়ে কম কাজ করেন না সংবাদ কর্মীরা।
বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে কিছু প্রতারক আছে তাদের কথা নাই বললাম কিন্তু যারা প্রায় প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে মানবতার কল্যাণে দেশের স্বার্থে কাজ করছেন তারা কেন সম্মানজনক স্থানে যাবেনা? সাংবাদিকরা যে বেতন ভাতা বা কমিশন পেয়ে থাকেন এতে খুব কষ্টে জীবনযাপন করতে হয় তাদের, তাই এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক চৌকস পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধিঃ দৈনিক নতুন বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও “ন্যাশনাল জার্নালিস্ট ইউনিটি (সাভার উপজেলা) এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ বিভিন্ন সময় সাংবাদিক নেতাদের সাথে আলোচনায় মন্তব্য করেন যে, প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে তালিকা করে সরকারিভাবে সম্মানি ভাতা দেওয়া হলে সাংবাদিকরা এই মহান পেশায় আসতে আরও আগ্রহী হবেন।অনেকেই বলেন, তুলনামূলক ভাবে রাত দিন ২৪ ঘন্টা খুব কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ ও সাংবাদিকরা। কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোক অনেক সময় পুলিশ ও সাংবাদিকদেরকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে থাকে যে, তা আমাদের মুখে বলতেও লজ্জা লাগে।
১০-১২ বছর আগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম কর্মী অর্থাৎ সাংবাদিক আর বর্তমান সময় একরকম নয়। বর্তমানে গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়া সংস্থায় যারা কাজ করছেন, তারা সবাই সাহসী ও সততার সাথে কাজ করছেন। তবে হে, যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের সামান্য কিছু ভুল হতেই পারে বলে অনেকেরই অভিমত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যওসাংবাদিকরা যদি কেনো দুষ্টু লোকের ভয় পায়, তাহলে তারা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন না। অনেকেই জানান, বিদেশেরতুলনায়বাংলাদেশের মানুষ অনেকটা শান্তি প্রিয়, বর্তমান সরকার সুনামের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। আর যারা সরকারী বাহিনী ও বিভিন্ন মিডিয়ায় দায়িত্ব পালন করছেন যারা, তারা ভালো মানুষ বলেই আল্লাহ্ তাদেরকে পছন্দ মতো কাজ দিয়েছেন। যে যাই বলেন, বা মন্তব্য করেন, এতেআমাদের কারো কোনো কিছু যায় আসেনা। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবো এটাই আমাদের মূলত লক্ষ্য, কেই খারাপ মন্তব্য করলে,সে যেই হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না, ওই সকল ব্যক্তি দেশ ও জাতির শক্র। তবে আমাদের মধ্যে কিছু দুষ্টুলোক আছে, যাদের ব্যবহার খারাপ, ভাষাও ভালো না, কার সাথে কেমন ভাষায় কথা বলতে হয় তারা জানেনা। এর কারণও রয়েছে, কম পড়া লেখা জানা, ব্যক্তিগতভাবে পরিবারের বড়দের ব্যবহার ও ভাষা দেখে তারা যা শিক্ষা নিয়েছেন এরচেয়ে বেশি তাদের কাছে আশা করা যায় না। এসব দুষ্টু প্রকৃতিরব্যক্তিদের থেকে দুরে থাকবেন সবাই আর বেশি বাড়লে, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে কোনো কর্মকান্ড করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অনুরোধ করছি, সাংবাদিক বা পুলিশ নিয়ে কেউ খারাপ মন্তব্য করবেন না, সবাই কিন্তু খারাপ নয়। এর আগে র‌্যাবের মহাপরিচালকবেনজীর আহমেদসহ অনেকেই ঘোষণা দিয়েছেন, প্রকৃত সাংবাদিকদের দিকে কেউ খারাপ দৃষ্টিতে তাকালে তাদের চোখ তুলে ফেলা হবে। আমি আবার বলছি, প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে সরকারি ভাবে সম্মানি ভাতা দিলে সরকারের জন্যও ভালো সাংবাদিকরাও আগ্রহী হয়ে সাংবাদিকতা করবে। এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কি?