নুরুজ্জামান লিটন :=
চাপাতি দিয়ে পেছন থেকে পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যরা। সম্প্রতি রাজধানীর শাহ আলীর রাইনখোলা ঈদগাহ এলাকা থেকে এবিটির চার সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪ এর একটি টিম। তাদের কাছে পাওয়া মোবাইল ফোন ফরেনসিক টেস্ট করে এবিটির এ পরিকল্পনার তথ্য জানতে পারে র্যাব।
গ্রেফতার চার জঙ্গি হলো, চাঁদপুরের আরিফুল করিম চৌধুরী অরফে আদনান চৌধুরী, নোয়াখালীর মেহেদী হাসান শাকিল ওরফে বাবু, আবদুল আল মামুন ও নাজমুল হাসান। তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, লিফলেট, ইলেকট্রনিক সার্কিট, ডিভাইস, ব্যাটারি ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে র্যাব-৪ অধিনায়ক ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রেফতার চারজনের মোবাইল ফোন ফরেনসিক টেস্ট করে তাদের কিছু পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছি। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছিল। পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করতে চেয়েছিল। এ পর্যন্ত এই গ্রুপের ২৩ জনকে গত তিন মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতার জঙ্গিদের একজন আরিফুল করিম। ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার হয়ে এক বছর ১১ মাস জেল খাটেন তিনি। সেই সময় তিনি হরকাতুল জিহাদের সদস্য ছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে এবিটিতে যোগ দেন আরিফুল করিম। ইন্টারনেটে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ছিল আরিফুলের দায়িত্ব।
অন্যদিকে প্যারামেডিকেলে পড়াশোনা করেছেন গ্রেফতার নোয়াখালীর মেহেদী হাসান শাকিল ওরফে বাবু। গত দুই বছর ধরে এবিটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল আল মামুন। একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন অপর গ্রেফতার নাজমুল হাসান। গত দুই বছর ধরে এ দুজন অনলাইনে ছদ্মনাম ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।