
রোকনুজ্জামান রিপন :=
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান। শেখ হাসিনা নবমবারের মত দলের সভাপতি ও দ্বিতীয় দফায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের ২১তম কাউন্সিল অধিবেশনের ২য় দিনে আজ দুপুরে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আব্দুল মতিন খসরু। এতে সমর্থন দেন পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। পরে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন অন্যান্য কাউন্সিলরদের তিনবার জিজ্ঞাসা করলে তারাও শেখ হাসিনার নামই বলেন। পরে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রস্তাব করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এর সমর্থন করেন আবদুর রহমান।
একইসঙ্গে কাউন্সিল অধিবেশনে ৮১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তাদের কয়েকজনের নাম ঘোষণা করেন সভাপতি শেখ হাসিনা। এরমধ্যে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে মাহবুবর রহমান হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ ও বাহাউদ্দিন নাছিমের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। তারা দু’জনেই সদ্য বিলুপ্ত কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক হয়েছেন আবদুস সোবহান গোলাপ। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন আহমদ হোসেন, মোজাম্মেল, মির্জা আজম, এসএম কামাল ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন এবং উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সভাপতি হয়েছেন সাতজন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দলটির সভাপতি হিসেবে সর্বোচ্চ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা।
এনিয়ে নবমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তিনবার করে সভাপতি নির্বাচিত হন।
আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দুইবার এবং এএইচএম কামারুজ্জামান ও আবদুল মালেক উকিল একবার করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন ৭৫ পরবর্তী পরিস্থিতিতে একবার দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন