আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :=
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচন শুরুর আগেই জমে উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ থেকে মনোনয়নপত্র কেনার ফলেই নাটক জমে উঠেছে। এর ফলে দক্ষিণের বর্তমান মেয়র সাইদ খোকনের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে গেল বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ফজলে নূর তাপসকে হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। হাইকমান্ডের নির্দেশেই তাপস মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে সাইদ খোকনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে, তিনি এখনও আশা ছাড়েননি। আগামী দু একদিনের মধ্যেই সাইদ খোকন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। গত চার বছরে তার কার্যক্রমের বিবরণ তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবেন। তবে আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ফজলে নূর তাপসকে উচ্চমহল থেকেই মনোনয়নপত্র কেনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণে গত ৪ বছরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ভাটার টান ধরেছিল। বিশেষ করে, ডেঙ্গু মোকাবেলায় সীমাহীন ব্যর্থতাসহ নানা বিষয় নিয়ে জনগণের ভেতর যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, সে কারণেই আওয়ামী লীগ মেয়র পদের জন্য নতুন প্রার্থীর সন্ধান করছে। সেখানে ফজলে নূর তাপসকে সামনে আনা হয়েছে।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, তাপসের ব্যক্তিগত ইমেজ এবং দলে তার প্রভাব বিবেচনা করেই তাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ দক্ষিণের মেয়র পদে শেষ পর্যন্ত কাকে মনোনয়ন দেবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে। ওই সূত্র আরো মনে করছে যে তাপসকে দিয়ে মনোনয়ন কেনানোর প্রধান উদ্দেশ্য হলো এখানে যেন কোনো বিভক্তি তৈরি না হয় এবং তাপস যদি মনোনয়ন না কেনেন তাহলে হাজি সেলিম বা অন্য কেউ এই দক্ষিণের মেয়রপদের জন্য নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেন। সেটি আওয়ামী লীগের জন্য নেতিবাচক হতো। সেই বিবেচনা থেকেও তাপসকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে সূত্র জানিয়েছে।
তবে যে কারণেই হোক না কেন, তাপস যে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশেই মনোনয়ন ফরম হাই কমান্ডের সবুজ সংকেতেই তাপস প্রার্থী? ব্যক্তিগত ইমেজ এবং দলে তার প্রভাব বিবেচনা করেই তাকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে।কিনেছে, সেই ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক মহল একমত।