বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, সমালোচনার ঝড়

নুরুজ্জামান লিটন:=

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের সমালোচনা করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এর পরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তার সমালোচনায় নেমেছন। তাদের দাবি, সেনাপ্রধানের বক্তব্য রাজনৈতিক। খবর এনডিটিভির। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নেতৃত্ব দেওয়া হল সবাইকে এগিয়ে ন‌িয়ে যাওয়া। যখন আপনি এগোবেন সবাই অনুসরণ করবে। কিন্তু নেতা তারাই যারা মানুষকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তারা নেতা নয়, যারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে। যেমনটা আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলাম। আমাদের শহর ও শহরতলিতে বিপুল বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়াতে দেখলাম জনতাকে। এটা নেতৃত্ব নয়।

সেনাপ্রধানের বক্তব্যের সমালোচনা করে কংগ্রেসের এক মুখপাত্র ব্রিজেশ কালাপ্পা এক টুইট বার্তায় বলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত সিএএ-র প্রতিবাদ নিয়ে কথা বলেছেন যা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আজ যদি সেনাপ্রধানকে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে দেয়া হয়, তাহলে তা কাল তাকে সেনা দখলের অনুমতিও দিতে পারে।

অন্যদিকে হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য ও এআইএমআইএম-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও এ বক্তব্যর সমালোনা করেন। তিনি বলেন, নেতৃত্ব দেওয়ার অর্থ নিজের দফতরের সীমাবদ্ধতা জানা। কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রধান হিসেবে তার গুরুত্ব ও অবস্থানও জানা উচিত। এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, উত্তরপ্রদেশে যারা সহিংসতা ছড়িয়েছে তাদের আমি বলতে চাই বাড়িতে বসে নিজেদের প্রশ্ন করুক, তারা যা করল সেটা ভালো না খারাপ। তারা বাস ও জনসম্পত্তি, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, তা ধ্বংস করল।

৩১ ডিসেম্বর অবসর নেবেন বিপিন রাওয়াত। এই প্রথম তিনি নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলন নিয়ে মুখ খোলেন। অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে। অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশে।প্রসঙ্গত, বিপিন রাওয়াতের অবসর গ্রহণের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাবানে পরবর্তী সেনা প্রধান হচ্ছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, সমালোচনার ঝড়

প্রকাশের সময় : ১০:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
নুরুজ্জামান লিটন:=

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের সমালোচনা করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এর পরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তার সমালোচনায় নেমেছন। তাদের দাবি, সেনাপ্রধানের বক্তব্য রাজনৈতিক। খবর এনডিটিভির। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নেতৃত্ব দেওয়া হল সবাইকে এগিয়ে ন‌িয়ে যাওয়া। যখন আপনি এগোবেন সবাই অনুসরণ করবে। কিন্তু নেতা তারাই যারা মানুষকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তারা নেতা নয়, যারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে। যেমনটা আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলাম। আমাদের শহর ও শহরতলিতে বিপুল বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়াতে দেখলাম জনতাকে। এটা নেতৃত্ব নয়।

সেনাপ্রধানের বক্তব্যের সমালোচনা করে কংগ্রেসের এক মুখপাত্র ব্রিজেশ কালাপ্পা এক টুইট বার্তায় বলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত সিএএ-র প্রতিবাদ নিয়ে কথা বলেছেন যা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আজ যদি সেনাপ্রধানকে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে দেয়া হয়, তাহলে তা কাল তাকে সেনা দখলের অনুমতিও দিতে পারে।

অন্যদিকে হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য ও এআইএমআইএম-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও এ বক্তব্যর সমালোনা করেন। তিনি বলেন, নেতৃত্ব দেওয়ার অর্থ নিজের দফতরের সীমাবদ্ধতা জানা। কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রধান হিসেবে তার গুরুত্ব ও অবস্থানও জানা উচিত। এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, উত্তরপ্রদেশে যারা সহিংসতা ছড়িয়েছে তাদের আমি বলতে চাই বাড়িতে বসে নিজেদের প্রশ্ন করুক, তারা যা করল সেটা ভালো না খারাপ। তারা বাস ও জনসম্পত্তি, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, তা ধ্বংস করল।

৩১ ডিসেম্বর অবসর নেবেন বিপিন রাওয়াত। এই প্রথম তিনি নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলন নিয়ে মুখ খোলেন। অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে। অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশে।প্রসঙ্গত, বিপিন রাওয়াতের অবসর গ্রহণের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাবানে পরবর্তী সেনা প্রধান হচ্ছেন।