শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অবশেষে ইউনিফর্ম পেলো কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ

তানজীর মহসিন :=

অতিরিক্ত কমিশনার, শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট প্রথমবারের মতো ইউনিফর্ম বা দাপ্তরিক পোশাক পেলেন শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পূর্বে এই বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ড্রেসকোড ছিল না, তবে কাস্টম হাউজ ও সীমান্তবর্তী স্থল শুল্ক স্টেশনগুলোতে কর্মরত আরও, এআরও, এসআই ও সিপাইগণ সাদা রঙের ইউনিফর্ম পরে দায়িত্ব পালন করতেন। একটি সুনির্দিষ্ট ইউনিফর্ম চালুর ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে এই বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

অবশেষে চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জলপাইরঙা ইউনিফর্ম অনুমোদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকালে আইডিইবি ভবনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসের ভূঁইয়া, এনডিসি, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের জন্য নির্ধারিত নতুন ইউনিফর্ম পরিধানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং বিধি মোতাবেক একদল চৌকস কর্মকর্তার সালাম গ্রহণ করেন।

হালকা জলপাই রঙের শার্ট ও গাঢ় জলপাই রঙের প্যান্ট এই ড্রেসের মূল বৈশিষ্ট্য। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সিপাই ও ড্রাইভার থেকে শুরু করে কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা ইউনিফর্ম পরে অফিস করবেন। তবে যেহেতু এই প্রথমবারের মতো পোশাক চালু হচ্ছে এবং প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য পোশাক তৈরি ও সরবরাহ করা আদৌ সহজসাধ্য কাজ নয়, তাই আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে সবার জন্য ইউনিফর্ম পরিধান বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। পরিহিত পোশাক দেখে যাতে খুব সহজে অফিসারের র‌্যাঙ্ক বা পরিচয় নিশ্চিত করা যায় সেইজন্যে কমিশনার বা মহাপরিচালকগণের শার্টে একটি ‘সোনালি দ্বার’ এবং মধ্যবর্তী অংশে সিলভার রঙের তিনটি ‘গৌরব তারকা’ থাকবে। অতিরিক্ত কমিশনারের শার্টে থাকবে একটি সোনালি দ্বার ও দুটি গৌরব তারকা, যুগ্ম কমিশনার বা যুগ্মপরিচালকের শার্টে একটি সোনালি দ্বার ও একটি গৌরব তারকা, উপকমিশনারের শার্টে কেবল একটি সোনালি দ্বার থাকবে। সহকারী কমিশনারদের পোশাকে থাকবে শুধু তিনটি গৌরব তারকা, তবে কোনো সোনালি দ্বার তাতে থাকবে না।

রাজস্ব কর্মকর্তা বা আরও-দের শার্টে দুটি গৌরব তারকা এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের শার্টে একটি গৌরব তারকাখচিত থাকবে। সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহিরা মাথায় গাঢ় জলপাই রঙের ‘বেরেই’ ক্যাপ পরবেন, যার সামনে পৌনে দুই ইঞ্চি ব্যাসের পিতলের চাকতির উপর কাস্টমস এন্ড ভ্যাট বিভাগের লোগো সাঁটা থাকবে।

তাছাড়া কর্মকর্তাদের ইউনিফর্মে জর্জেট প্যাচ থাকবে, যা হবে সমুদ্র-নীল ভিত্তির উপরে সোনালি জরির সুতা গিয়ে এমব্রয়ডারি করা। শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের সদ্য চালু হওয়া এই ইউনিফর্ম তাদেরকে আরো আত্মবিশ্বাসী, কর্মনিষ্ঠ ও রাজস্ব আদায়ে প্রত্যয়ী করবে তুলবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন। তদুপরি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান নিরোধের ক্ষেত্রেও ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মকর্তারা পূর্বের তুলনায় আরো বেশি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করবার সুযোগ পাবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

অবশেষে ইউনিফর্ম পেলো কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯
তানজীর মহসিন :=

অতিরিক্ত কমিশনার, শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট প্রথমবারের মতো ইউনিফর্ম বা দাপ্তরিক পোশাক পেলেন শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পূর্বে এই বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ড্রেসকোড ছিল না, তবে কাস্টম হাউজ ও সীমান্তবর্তী স্থল শুল্ক স্টেশনগুলোতে কর্মরত আরও, এআরও, এসআই ও সিপাইগণ সাদা রঙের ইউনিফর্ম পরে দায়িত্ব পালন করতেন। একটি সুনির্দিষ্ট ইউনিফর্ম চালুর ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে এই বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

অবশেষে চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জলপাইরঙা ইউনিফর্ম অনুমোদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকালে আইডিইবি ভবনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসের ভূঁইয়া, এনডিসি, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের জন্য নির্ধারিত নতুন ইউনিফর্ম পরিধানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং বিধি মোতাবেক একদল চৌকস কর্মকর্তার সালাম গ্রহণ করেন।

হালকা জলপাই রঙের শার্ট ও গাঢ় জলপাই রঙের প্যান্ট এই ড্রেসের মূল বৈশিষ্ট্য। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সিপাই ও ড্রাইভার থেকে শুরু করে কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা ইউনিফর্ম পরে অফিস করবেন। তবে যেহেতু এই প্রথমবারের মতো পোশাক চালু হচ্ছে এবং প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য পোশাক তৈরি ও সরবরাহ করা আদৌ সহজসাধ্য কাজ নয়, তাই আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে সবার জন্য ইউনিফর্ম পরিধান বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। পরিহিত পোশাক দেখে যাতে খুব সহজে অফিসারের র‌্যাঙ্ক বা পরিচয় নিশ্চিত করা যায় সেইজন্যে কমিশনার বা মহাপরিচালকগণের শার্টে একটি ‘সোনালি দ্বার’ এবং মধ্যবর্তী অংশে সিলভার রঙের তিনটি ‘গৌরব তারকা’ থাকবে। অতিরিক্ত কমিশনারের শার্টে থাকবে একটি সোনালি দ্বার ও দুটি গৌরব তারকা, যুগ্ম কমিশনার বা যুগ্মপরিচালকের শার্টে একটি সোনালি দ্বার ও একটি গৌরব তারকা, উপকমিশনারের শার্টে কেবল একটি সোনালি দ্বার থাকবে। সহকারী কমিশনারদের পোশাকে থাকবে শুধু তিনটি গৌরব তারকা, তবে কোনো সোনালি দ্বার তাতে থাকবে না।

রাজস্ব কর্মকর্তা বা আরও-দের শার্টে দুটি গৌরব তারকা এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের শার্টে একটি গৌরব তারকাখচিত থাকবে। সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহিরা মাথায় গাঢ় জলপাই রঙের ‘বেরেই’ ক্যাপ পরবেন, যার সামনে পৌনে দুই ইঞ্চি ব্যাসের পিতলের চাকতির উপর কাস্টমস এন্ড ভ্যাট বিভাগের লোগো সাঁটা থাকবে।

তাছাড়া কর্মকর্তাদের ইউনিফর্মে জর্জেট প্যাচ থাকবে, যা হবে সমুদ্র-নীল ভিত্তির উপরে সোনালি জরির সুতা গিয়ে এমব্রয়ডারি করা। শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের সদ্য চালু হওয়া এই ইউনিফর্ম তাদেরকে আরো আত্মবিশ্বাসী, কর্মনিষ্ঠ ও রাজস্ব আদায়ে প্রত্যয়ী করবে তুলবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন। তদুপরি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান নিরোধের ক্ষেত্রেও ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মকর্তারা পূর্বের তুলনায় আরো বেশি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করবার সুযোগ পাবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।