
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে।কিন্তু টেকসই উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি। গত ১০ বছরে দুর্নীতিবাজরা বাংলাদেশ থেকে ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই দেশবিরোধী নব্য-রাজাকারদের খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
সমাবেশে জামায়াত-বিএনপির সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মেজর জিয়াউর রহমান সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা তখনো জনগণের পক্ষে এর বিরোধিতা করেছিলাম। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য যখন গ্রেনেড মারা হয়, তখনো তার বিরোধিতা করেছি। সর্বশেষ জামাত-বিএনপির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে ১৪ দল গঠন করেছি। এই ১৪ দলের কারণেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আজ বাংলাদেশের মাটিতে শক্তিশালী হয়েছে।আমরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি,দেশের মানুষের উন্নতি হচ্ছে।যদি সেদিন ১৪ দল গঠন করা না হতো তাহলে আওয়ামী লীগও মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতো না।সম্প্রতি ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়া নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলছেন।কিন্তু নিজের দল ত্যাগ করেছেন। নৌকা বরাদ্দ না পেয়ে দলছুট হয়েছেন। নৌকা পেলে সমস্যা নেই। আর নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পাননি বলেই যত সমস্যা।তবে আমাদের পার্টির সর্বশেষ কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী দিন আমাদের দলীয় প্রতীক হাতুড়ি মার্কা নিয়েই আমরা নির্বাচন করবো।
তিনি আরো বলেন, সমগ্র দেশ যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ার লড়াই চলছে, সেই সময়ে দলকে দুর্বল করতেই ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু দলের কোনো ক্ষতি আপনারা করতে পারেননি। আজকের এই লাল পতাকার সমাবেশ তাই প্রমাণ করছে।
যশোর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, নূর আহমেদ বকুল, সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সবদুল হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুচ তালুকদার,সদস্য অনুপ কুমার পিন্টু, যশোর জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শ্যামলী শর্মা প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho