মাহবুবুল আলম টুটুল:=
নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস“”নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস” চারদিকে হইচই। ‘কেমন আছিস! কতদিন দেখি না তোকে, শুধু ফেসবুকে তোর ছবি দেখি। খাল্লামা কেমন আছেন? খাল্লামা কি আগের মতো দেশি মাছের ঝোল রান্না করতে পারে!’ এমনই নানান খোশগল্পে মেতে ওঠেন যশোর ক্যান্টেনমেন্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সহপাঠীদের সাথে শুরু করেন স্মৃতিবিজড়িত গল্প। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে প্রাক্তন শিক্ষকদের সাথে সালাম বিনিময় আর ছবি তোলার প্রতিযোগিতা শুরু হয় সবার মধ্যে। সবমিলিয়ে শনিবার কলেজ ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়। ‘এসো স্মৃতির প্রাঙ্গণে, মিলি প্রীতির বন্ধনে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা তিনটায়। মূল আয়োজনের আগেই মঞ্চে নেয়া হয় ১৯৮৮ ব্যাচের কৃতিছাত্র রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ সিদ্দিক রিয়াজকে (নায়ক রিয়াজ)। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজের বয়স বেড়ে গেলেও কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে মন ফিরে যায় সেই ৩০ বছর আগে। যখন প্রতিদিন কলেজে আসতাম আর আড্ডা দিতাম বন্ধুদের সাথে। সত্যিই ওই দিনগুলো ভুলার নয়।’সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনীর মূল পর্ব শুরু হয় কোরআন তেলোয়াত ও গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তৃতায় অনুষ্ঠান সম্পর্কে তুলে ধরেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর ইকবালুর রশীদ।শনিবারের অনুষ্ঠানে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও যশোর সেনানিবাসে এরিয়া কমান্ডার(জিওসি) এবং কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান (এসবিপি, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি) প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।“নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস” “নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস” এ সময় তিনি বলেন, যশোর-খুলনা অঞ্চলে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ একটি ঐহিত্যবাহী প্রতিষ্ঠান। প্রতি “নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস” নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস” বছর এখান থেকে কয়েকশ’ কৃতি শিক্ষার্থী সুনামের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। পরে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে সমগ্র আয়োজনের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আসেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম বাহাউদ্দিন (এসইউপি, এসপিপ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি)। কলেজের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন অধ্যক্ষ লে.কর্নেল আমিনুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, তিনজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানটিতে এখন পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। তিনি কলেজের বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে একটি থ্রিডি অ্যানিমেশন উপস্থাপন করেন। এতে কলেজের বর্তমান অবকাঠামো দেখানো হয়। ভবিষ্যতে আরও কী কী উন্নয়ন করা হবে তাও দেখানো হয় অ্যানিমেশনের মাধ্যমে। আরও বক্তৃতা দেন কলেজের প্রাক্তন স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন খান ডালু। “নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস” নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস” অনুষ্ঠানের এ পর্বে প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। একইসাথে কলেজের ছাত্র ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ আলতাফ হোসেনের পরিবারকেও তুলে দেয়া হয় সম্মাননা স্মারক। অনুষ্ঠানে ১৯৭৫-২০১৯ ব্যাচের নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর আগে কলেজ ক্যাম্পাসে র্যালি বের হয়।সঞ্চালনায় ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাদিয়া হোসেন ও ফজলে রাব্বী মোপাসা। আজ রোববার প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দিপু মনি। বিশেষ অতিথি থাকবেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৩ (সদর) আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ। সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। আজ সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করবেন ব্যান্ড তারকা জেমস।