শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান হলেন সাত নেতা

প্রফেসর জিন্নাত আলী :=

জাতীয় পার্টিতে একজন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানসহ ৭ নেতাকে কো-চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। দলটির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি পার্টির নবম জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের এই নিয়োগ দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০-এর উপধারা ১/(১)ক এবং ২/খ মোতাবেক এই নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। জাতীয় পার্টিতে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি।

এছাড়া কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৬ নেতা হচ্ছেন- অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি এবং মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ : নবনিযুক্ত সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এর আগে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এক-এগারোর সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। চট্টগ্রাম-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ১৯৯৬, ১৯৮৮, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ব্যক্তিজীবনে একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্র, পানিসম্পদ, শিক্ষা, বন ও পরিবেশ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম : সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম সুপ্রিমকোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী। ব্যক্তিজীবনে সফল রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, মানবাধিকারকর্মী এবং সমাজহিতৈষী হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। তিনি দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে জনপ্রিয় এই দৈনিকের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। এবার নিয়ে টানা তিনবার জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে ঢাকা-১ আসনে ভোট করেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে নবম জাতীয় সংসদেও সংসদ সদস্য ছিলেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।

আইনে স্নাতক এই সফল রাজনীতিবিদ এক সময় ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতিরও নির্বাচিত নেতা ছিলেন। এরপরই জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে জড়ান তিনি। আইন পেশায় সফলতার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সাফল্যের ছাপ রাখেন। দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এখন ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন জাতীয় মহিলা পার্টির সভানেত্রীর দায়িত্বও বেশ সুনামের সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। ২০১৩ সালের শেষদিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবার জাতীয় পার্টির নবম কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে দলটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।

রাজনীতি, ব্যবসা, আইন পেশার বাইরে আর্তমানবতার সেবায়ও তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। নিজের নির্বাচনী এলাকা দোহার-নবাবগঞ্জসহ অবহেলিত পথপ্রান্তরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা, রোহিঙ্গাদের পাশে, ভাঙনকবলিত আশ্রয়হীন-সম্বলহীন মানুষের পাশে বিভিন্ন সময় সহায়তার হাত বাড়াতে দেখা গেছে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে।

এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার : এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ১৭ বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনিও ব্যক্তিজীবনে একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে পর্যায়ক্রমে ১৯৯৬, ১৯৮৮, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হন।

মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন সময় বন ও পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, পাট ও বস্ত্র, যুব ও ক্রীড়াসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। জাতীয় সংসদের হুইপেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ : বীর মুক্তিযোদ্ধা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ ষাটের দশকে ছিলেন তুখোড় ছাত্রনেতা। ছাত্রলীগের হয়ে জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের ৩ বার ভিপি (সহসভাপতি) ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনিও একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ।

দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ছিলেন ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতির দায়িত্বেও। ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হন। এরপর ১৯৮৮, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ। নৌপরিবহন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু : জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুও এক সময় তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসুর) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এরপর ১৯৮৮ ও ২০১৪ সালেও সংসদ সদস্য হন তিনি।

ব্যক্তিজীবনে ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ নানা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা : সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জাতীয় পার্টির দীর্ঘদিন প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৮, ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে সংসদ সদস্য হন তিনি।

ব্যক্তিজীবনে একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ব্রাদার্স ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মো. মুজিবুল হক চুন্নু : দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন মুজিবুল হক চুন্নু।

এবার তাকে কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তিনি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় পার্টির হয়ে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুজিবুল হক চুন্নু। এর আগে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান হলেন সাত নেতা

প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রফেসর জিন্নাত আলী :=

জাতীয় পার্টিতে একজন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানসহ ৭ নেতাকে কো-চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। দলটির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি পার্টির নবম জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের এই নিয়োগ দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০-এর উপধারা ১/(১)ক এবং ২/খ মোতাবেক এই নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। জাতীয় পার্টিতে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি।

এছাড়া কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৬ নেতা হচ্ছেন- অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি এবং মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ : নবনিযুক্ত সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এর আগে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এক-এগারোর সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। চট্টগ্রাম-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ১৯৯৬, ১৯৮৮, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ব্যক্তিজীবনে একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্র, পানিসম্পদ, শিক্ষা, বন ও পরিবেশ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম : সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম সুপ্রিমকোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী। ব্যক্তিজীবনে সফল রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, মানবাধিকারকর্মী এবং সমাজহিতৈষী হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। তিনি দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে জনপ্রিয় এই দৈনিকের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। এবার নিয়ে টানা তিনবার জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে ঢাকা-১ আসনে ভোট করেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে নবম জাতীয় সংসদেও সংসদ সদস্য ছিলেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।

আইনে স্নাতক এই সফল রাজনীতিবিদ এক সময় ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতিরও নির্বাচিত নেতা ছিলেন। এরপরই জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে জড়ান তিনি। আইন পেশায় সফলতার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সাফল্যের ছাপ রাখেন। দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এখন ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন জাতীয় মহিলা পার্টির সভানেত্রীর দায়িত্বও বেশ সুনামের সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। ২০১৩ সালের শেষদিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবার জাতীয় পার্টির নবম কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে দলটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।

রাজনীতি, ব্যবসা, আইন পেশার বাইরে আর্তমানবতার সেবায়ও তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। নিজের নির্বাচনী এলাকা দোহার-নবাবগঞ্জসহ অবহেলিত পথপ্রান্তরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা, রোহিঙ্গাদের পাশে, ভাঙনকবলিত আশ্রয়হীন-সম্বলহীন মানুষের পাশে বিভিন্ন সময় সহায়তার হাত বাড়াতে দেখা গেছে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে।

এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার : এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ১৭ বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনিও ব্যক্তিজীবনে একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে পর্যায়ক্রমে ১৯৯৬, ১৯৮৮, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হন।

মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন সময় বন ও পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, পাট ও বস্ত্র, যুব ও ক্রীড়াসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। জাতীয় সংসদের হুইপেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ : বীর মুক্তিযোদ্ধা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ ষাটের দশকে ছিলেন তুখোড় ছাত্রনেতা। ছাত্রলীগের হয়ে জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের ৩ বার ভিপি (সহসভাপতি) ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনিও একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ।

দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ছিলেন ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতির দায়িত্বেও। ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হন। এরপর ১৯৮৮, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ। নৌপরিবহন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু : জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুও এক সময় তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসুর) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এরপর ১৯৮৮ ও ২০১৪ সালেও সংসদ সদস্য হন তিনি।

ব্যক্তিজীবনে ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ নানা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা : সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জাতীয় পার্টির দীর্ঘদিন প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৮, ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে সংসদ সদস্য হন তিনি।

ব্যক্তিজীবনে একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ব্রাদার্স ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মো. মুজিবুল হক চুন্নু : দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন মুজিবুল হক চুন্নু।

এবার তাকে কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তিনি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় পার্টির হয়ে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুজিবুল হক চুন্নু। এর আগে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।