বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা

রোকনুজজামান রিপন := ভয়াবহ আকার ধারণ করা লাভেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ বৈঠক করে কয়েকটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকের পর মন্ত্রী ও কর্মকর্তাসহ ২১/২২ জনকে নিয়ে নিজের কার্যালয়ে বিশেষ এই বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা ভাইরাস যেভাবেই হোক প্রতিরোধ করতে হবে। এছাড়া চীন থেকে দেশে আনা ৩১২ জনকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।

সচিব আরও জানান, চীনের উহানে এখনও ১৭১ জন শিক্ষার্থী আছেন। শিগগিরই চীন থেকে নিয়ে আসা হবে। তাদেরকে আলাদা রাখা হবে। কিন্তু তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ক্রুদের সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশ ভিসা দিতে চাচ্ছে না। একারণে বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চার্টার্ড বিমান নিতে বলা হয়েছে।

সচিব জানান, উহান থেকে ঢাকায় যে চারটি ফ্লাইট আসে, সেই ফ্লাইটগুলোতে খুব বেশি প্যাসেঞ্জার বহন করে না। তাই ইউএস বাংলাসহ অন্যান্য এয়ারলাইনগুলো নিজেরাই এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।প্রধানমন্ত্রী আরও নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, যারা এর মধ্যে উহান শহরে ফেরত গেছে, তাদের আর বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
রোকনুজজামান রিপন := ভয়াবহ আকার ধারণ করা লাভেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ বৈঠক করে কয়েকটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকের পর মন্ত্রী ও কর্মকর্তাসহ ২১/২২ জনকে নিয়ে নিজের কার্যালয়ে বিশেষ এই বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা ভাইরাস যেভাবেই হোক প্রতিরোধ করতে হবে। এছাড়া চীন থেকে দেশে আনা ৩১২ জনকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।

সচিব আরও জানান, চীনের উহানে এখনও ১৭১ জন শিক্ষার্থী আছেন। শিগগিরই চীন থেকে নিয়ে আসা হবে। তাদেরকে আলাদা রাখা হবে। কিন্তু তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ক্রুদের সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশ ভিসা দিতে চাচ্ছে না। একারণে বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চার্টার্ড বিমান নিতে বলা হয়েছে।

সচিব জানান, উহান থেকে ঢাকায় যে চারটি ফ্লাইট আসে, সেই ফ্লাইটগুলোতে খুব বেশি প্যাসেঞ্জার বহন করে না। তাই ইউএস বাংলাসহ অন্যান্য এয়ারলাইনগুলো নিজেরাই এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।প্রধানমন্ত্রী আরও নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, যারা এর মধ্যে উহান শহরে ফেরত গেছে, তাদের আর বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না।