শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এবার নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা

সেলিম রেজা :=

দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির জেলা আদালতে এই মামলায় নাম থাকা আরেক অভিযুক্ত হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে।

সোমবার ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের এক আইনজীবী এইচ কে সিংয়ের দায়ের করা মামলাটি রাঁচির জেলা আদালতে গৃহীত হয়।মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর তার পূরণ করেননি।

মামলাকারী ওই আইনজীবীর অভিযোগ, ‘২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেন- লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাই সরকারে আসার পরেই এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হল। কিন্তু, আমার প্রশ্ন হল ২০১৯ সালে দেওয়া CAA’র প্রতিশ্রুতি পূরণ হলেও প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কেন পূরণ হল না? নাকি বিজেপির ইস্তেহারে থাকা সব প্রতিশ্রুতিকে তারা সম্মান দেয় না? জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী এভাবে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায় না। যদি এই ধরনের ঘটনা কেউ ঘটায় তাহলে তা মানুষকে ঠকানোর সামিল।’

তবে ওই আইনজীবীর মামলার বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতারা। তারা বলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে ১৫ লাখ রুপি করে দেওয়ার কোনও উল্লেখ্য নেই

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

এবার নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
সেলিম রেজা :=

দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির জেলা আদালতে এই মামলায় নাম থাকা আরেক অভিযুক্ত হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে।

সোমবার ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের এক আইনজীবী এইচ কে সিংয়ের দায়ের করা মামলাটি রাঁচির জেলা আদালতে গৃহীত হয়।মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর তার পূরণ করেননি।

মামলাকারী ওই আইনজীবীর অভিযোগ, ‘২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেন- লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাই সরকারে আসার পরেই এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হল। কিন্তু, আমার প্রশ্ন হল ২০১৯ সালে দেওয়া CAA’র প্রতিশ্রুতি পূরণ হলেও প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কেন পূরণ হল না? নাকি বিজেপির ইস্তেহারে থাকা সব প্রতিশ্রুতিকে তারা সম্মান দেয় না? জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী এভাবে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায় না। যদি এই ধরনের ঘটনা কেউ ঘটায় তাহলে তা মানুষকে ঠকানোর সামিল।’

তবে ওই আইনজীবীর মামলার বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতারা। তারা বলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে ১৫ লাখ রুপি করে দেওয়ার কোনও উল্লেখ্য নেই