রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপিকে সংগঠিত করতে তারেকের নতুন উদ্যোগ

আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :=

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপিকে পুনর্গঠিত করা, বিএনপিকে সংগঠিত করার জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বিএনপি এখন ঝড়ে বিধ্বস্ত লণ্ডভণ্ড। এই নেতাকর্মীদের মধ্যে আবার হতাশা নেমে এসেছে। সবচেয়ে বড় কথা, বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি যে তৃণমূল, সেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। তারা বলেছে যে, এই নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি সংগঠন পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। সবচেয়ে বেশি দাবি উঠেছে দলের মহাসচিব পরিবর্তনের ব্যাপারে।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরদিন থেকে সক্রিয় হয়েছেন তারেক জিয়া। তিনি গত শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৪৮টি জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্কাইপে এবং টেলিফোনে কথা বলেছেন। তাদের মতামত নিয়ে দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ছাত্রদলে যেভাবে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছিল তেমনি একইভাবে এবার ভোটে মহাসচিব নির্বাচন করা হবে বলে তিনি তৃণমূলকে জানিয়েছেন। ভোটের রুপরেখা সম্পর্কেও তিনি আভাস দিয়েছেন বলে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলা একাধিক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রত্যেকটি জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মহানগরের কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির বর্তমানে থাকা সদস্যবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ জন করে প্রতিনিধি এরাই প্রত্যেকে ভোট দেবেন এবং ভোটের মাধ্যমে যাকে তারা মহাসচিব হিসেবে চায় তারা তাকে মহাসচিব হিসেবে মনোনয়ন দেবে। এরপর চূড়ান্তভাবে তারেক জিয়া এই মহাসচিবকে অনুমোদন দেবেন।

বিএনপির মধ্যে ইতোমধ্যেই এটা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দলটির তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মী ভোটের মাধ্যমে মহাসচিব নিয়োগের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ভোটের মাধ্যমে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে সময় এটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত আর কার্যকর হয়েছে। ফলে অন্ত:কলহ কোন্দল ইত্যাদি হয় না। বিএনপির মহাসচিবও যদি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় বিশেষ করে তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে তাহলে ঐ মহাসচিব জবাবদিহিতার আওতায় থাকবেন। এছাড়া তৃণমূলকে সম্মান করবেন এবং কার্যকর নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মহাসচিব পদে নির্বাচন হলেও স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নির্বাচন প্রক্রিয়া হবে না। বরং মহাসচিবের নির্বাচনের পর পরামর্শক্রমে স্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে। আর কাউন্সিল করলে এখন সরকারের নানা রকম বাধাসহ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এজন্য ভোটের মাধ্যমে প্রথমে মহাসচিব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করছে বিএনপি। তবে কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বিএনপিকে সংগঠিত করতে তারেকের নতুন উদ্যোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :=

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপিকে পুনর্গঠিত করা, বিএনপিকে সংগঠিত করার জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বিএনপি এখন ঝড়ে বিধ্বস্ত লণ্ডভণ্ড। এই নেতাকর্মীদের মধ্যে আবার হতাশা নেমে এসেছে। সবচেয়ে বড় কথা, বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি যে তৃণমূল, সেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। তারা বলেছে যে, এই নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি সংগঠন পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। সবচেয়ে বেশি দাবি উঠেছে দলের মহাসচিব পরিবর্তনের ব্যাপারে।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরদিন থেকে সক্রিয় হয়েছেন তারেক জিয়া। তিনি গত শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৪৮টি জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্কাইপে এবং টেলিফোনে কথা বলেছেন। তাদের মতামত নিয়ে দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ছাত্রদলে যেভাবে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছিল তেমনি একইভাবে এবার ভোটে মহাসচিব নির্বাচন করা হবে বলে তিনি তৃণমূলকে জানিয়েছেন। ভোটের রুপরেখা সম্পর্কেও তিনি আভাস দিয়েছেন বলে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলা একাধিক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রত্যেকটি জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মহানগরের কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির বর্তমানে থাকা সদস্যবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ জন করে প্রতিনিধি এরাই প্রত্যেকে ভোট দেবেন এবং ভোটের মাধ্যমে যাকে তারা মহাসচিব হিসেবে চায় তারা তাকে মহাসচিব হিসেবে মনোনয়ন দেবে। এরপর চূড়ান্তভাবে তারেক জিয়া এই মহাসচিবকে অনুমোদন দেবেন।

বিএনপির মধ্যে ইতোমধ্যেই এটা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দলটির তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মী ভোটের মাধ্যমে মহাসচিব নিয়োগের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ভোটের মাধ্যমে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে সময় এটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত আর কার্যকর হয়েছে। ফলে অন্ত:কলহ কোন্দল ইত্যাদি হয় না। বিএনপির মহাসচিবও যদি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় বিশেষ করে তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে তাহলে ঐ মহাসচিব জবাবদিহিতার আওতায় থাকবেন। এছাড়া তৃণমূলকে সম্মান করবেন এবং কার্যকর নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মহাসচিব পদে নির্বাচন হলেও স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নির্বাচন প্রক্রিয়া হবে না। বরং মহাসচিবের নির্বাচনের পর পরামর্শক্রমে স্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে। আর কাউন্সিল করলে এখন সরকারের নানা রকম বাধাসহ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এজন্য ভোটের মাধ্যমে প্রথমে মহাসচিব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করছে বিএনপি। তবে কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।