মো: নুরুজ্জামান লিটন :=
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং খোলের দুর্বল কাঠামোর কারণেই জাহাজটি ১৬৩১ সালে স্পেনে ফেরার পথে মেক্সিকো উপসাগরে ডুবে যায়। এ ঘটনার ৪০০ বছর পর নতুন করে জাহাজটির যৌথ অনুসন্ধানের কাজ শুরু করছে স্পেন ও মেক্সিকো।
তবে এটা ‘নুয়েস্ত্রা সেনরা ডি লেস হুনকাল’ নামে অপর এক জাহাজে থাকা ধনরাশির তুলনায় কিছুই নয়। স্পেন সাম্রাজ্যের সম্রাজ্যের নথি অনুযায়ী হুনকাল প্রায় ১২০ টন স্বর্ণ, রৌপ্য এবং অন্যান্য মুল্যবান ধনরাশি বহন করছিল।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং খোলের দুর্বল কাঠামোর কারণেই জাহাজটি ১৬৩১ সালে স্পেনে ফেরার পথে মেক্সিকো উপসাগরে ডুবে যায়। প্রায় ৩শ’ নাবিকের মাঝে জাহাজ ডুবি থেকে বেঁচে যান ৩৯ জন। তারা কোনোরকমে একটি নৌকায় করে উপকূলে এসে পৌঁছান।
এই ঘটনার ৪০০ বছর পর নতুন করে জাহাজটির যৌথ অনুসন্ধানের কাজ শুরু করছে স্পেন ও মেক্সিকো। যৌথ সাংস্কৃতিক মূল্য রাখে এমন সম্পদ অনুসন্ধানে ছয় বছর আগেই দুই দেশের সরকার একটি চুক্তি করে । এই চুক্তির আওতায় উভয় দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ডুবুরি দল আগামী ১০ দিন ধরে হুনকালের অনুসন্ধান চালাবে।
গত সোমবার দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। স্পেনের পক্ষে অনুসন্ধান কাজে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি’র পরিচালক ডক্টর ইভান নেগুয়েরেলা। আর মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউড অব অ্যানথ্রোপলোজি আন্ড হিস্ট্রি’র পক্ষে থাকবেন সংস্থাটির জলমগ্ন প্রত্নসম্পদ বিভাগের উপ-পরিচালক রবার্টো হুনকো।
এদিকে, ধনসম্পদে ভরপুর হুনকাল খুঁজে বের করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. ইভান নেগুয়েরেলা। তিনি বলেন, নাবিকদের বর্ণনা কর্তৃপক্ষ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নথিবদ্ধ করে রেখেছিল। তাই ডুবে যাওয়া জাহাজটির প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে । সমুদ্রতলে উদ্ধারকাজ চালাতে এই ধরনের জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।