শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইঁদুরবাহিত ভাইরাসে ৭০ জনের মৃত্যু

নুরুজ্জামান লিটন :=

পুরো বিশ্ব যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে চিন্তিত। ঠিক তখনি করোনার পাশাপাশি নতুন  করে যোগ হল নাইজেরিয়ায় ইঁদুরের ছড়ানো ভাইরাস।

ইতিমধ্যে ইঁদুরের ছড়ানো ভাইরাসে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইঁদুর থেকে ছড়িয়ে পড়া লাসা জ্বরে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (এনসিডিসি) বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার পর্যন্ত লাসা জ্বরে ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির তিন প্রদেশে নতুন করে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে।

এ ছাড়া অন্ডো, ডেলটা ও কাদুনা রাজ্যে চারজন স্বাস্থ্যকর্মী নতুন করে লাসা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝির তুলনায় নাইজেরিয়ায় লাসায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৭২ জনের লাসা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা বলছেন, খাবার, মলমূত্র ও গৃহস্থালি জিনিসপত্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে লাসা জ্বর ছড়ায়। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই জ্বর প্রাণঘাতী নয়।এতে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পাশাপাশি মাথাব্যথা, মুখে ঘা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়। এ ছাড়া এই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর অনেক সময় হার্ট ও কিডনি অচল হয়ে যায়।

লাসা জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে ৬ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত আলাদা স্থানে রাখতে হয়। কারণ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলেই অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

ভূরুঙ্গামারীতে প্রা.বি.সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

ইঁদুরবাহিত ভাইরাসে ৭০ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
নুরুজ্জামান লিটন :=

পুরো বিশ্ব যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে চিন্তিত। ঠিক তখনি করোনার পাশাপাশি নতুন  করে যোগ হল নাইজেরিয়ায় ইঁদুরের ছড়ানো ভাইরাস।

ইতিমধ্যে ইঁদুরের ছড়ানো ভাইরাসে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইঁদুর থেকে ছড়িয়ে পড়া লাসা জ্বরে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (এনসিডিসি) বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার পর্যন্ত লাসা জ্বরে ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির তিন প্রদেশে নতুন করে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে।

এ ছাড়া অন্ডো, ডেলটা ও কাদুনা রাজ্যে চারজন স্বাস্থ্যকর্মী নতুন করে লাসা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝির তুলনায় নাইজেরিয়ায় লাসায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৭২ জনের লাসা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা বলছেন, খাবার, মলমূত্র ও গৃহস্থালি জিনিসপত্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে লাসা জ্বর ছড়ায়। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই জ্বর প্রাণঘাতী নয়।এতে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পাশাপাশি মাথাব্যথা, মুখে ঘা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়। এ ছাড়া এই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর অনেক সময় হার্ট ও কিডনি অচল হয়ে যায়।

লাসা জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে ৬ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত আলাদা স্থানে রাখতে হয়। কারণ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলেই অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।