শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে অস্ত্রসহ আটকের ৫দিনেও নেওয়া হয়নি আইনগত পদক্ষেপ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন চুনাপাথর খনি প্রকল্প মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজে হামলার সময় চাইনিজ কুরালসহ সিহাব সরোয়ার শিপু নামের মাদকাসক্ত এক লম্পটকে আটকের ৫দিন পেরিয়ে গেলেও নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষ,ম্যানেজিং কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে দেখে ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবং চাইনিজ কুরালসহ আটক লম্পট সিহাব সারোয়ার শিপুর বিরুদ্ধে শীগ্রই আইনগত পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। এব্যাপারে ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয়রা জানায়,গত বুধবার দুপুরে মাদকাসক্ত লম্পট সিহাব সারোয়ার শিপু টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে। এসময় সংশ্লিস্ট কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র মিতুন প্রতিবাদ করার কারণে চাইনিজ কুরাল নিয়ে লম্পট সিহাব সারোয়ার শিপু কলেজের ভিতরেই হামলা করে। এসময় কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে লম্পট শিপুকে চাইনিজ কুরালসহ আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টায় সালিশ বসে। কিন্তু সালিসের মাধ্যমে সমাধান না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ লম্পট শিপুকে চাইনিজ কুরালসহ টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের হেফাজতে নেয়। এবং পরদিন বিকেলে আবার সালিশ বসে সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে লম্পট শিপুকে গোপনে তা মা সহকারী প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগমের হেফাজতে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু হামলার ঘটনার ৫দিন পেরিয়ে গেলেও হয়নি কোন সালিশ এবং নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ। অথচ লম্পট শিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগে কোন শেষ নেই। ইয়াবা ও পিস্তলসহ লম্পট সিহাব সারোয়ার শিপুকে র‌্যাব গ্রেফতার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেটের বিজিবি স্কুল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। এরআগে ছাত্রীদের স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ইভটিজিং করার অপরাধে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিপুকে বহিস্কার করা হয় বলে ছাত্রছাত্রীরা জানায়। কিন্তু টেকেরঘাট কলেজে হামলার পর লম্পট শিপুকে চাইনিজ কুরালসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আটক করার ৫দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই মুসা বলেন,চাইনিজ কুরালসহ সিহাব সারোয়ার শিপু নামের একজনকে আটক করার বিষয়টি জানতে পেরেছি কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে অস্ত্র জমা দেয়নি এবং লিখিত কোন অভিযোগও করেনি। চুনাপাথর খনি প্রকল্প মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ খাইরুল আলম এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সালিসের মাধ্যমে লম্পট শিহাব সারোয়ার শিপুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সালিসের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছেন সংশ্লিষ্ট কলেজের কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকসহ সর্বস্থরের জনসাধারণ।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

সুনামগঞ্জে অস্ত্রসহ আটকের ৫দিনেও নেওয়া হয়নি আইনগত পদক্ষেপ

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন চুনাপাথর খনি প্রকল্প মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজে হামলার সময় চাইনিজ কুরালসহ সিহাব সরোয়ার শিপু নামের মাদকাসক্ত এক লম্পটকে আটকের ৫দিন পেরিয়ে গেলেও নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষ,ম্যানেজিং কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে দেখে ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবং চাইনিজ কুরালসহ আটক লম্পট সিহাব সারোয়ার শিপুর বিরুদ্ধে শীগ্রই আইনগত পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। এব্যাপারে ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয়রা জানায়,গত বুধবার দুপুরে মাদকাসক্ত লম্পট সিহাব সারোয়ার শিপু টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে। এসময় সংশ্লিস্ট কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র মিতুন প্রতিবাদ করার কারণে চাইনিজ কুরাল নিয়ে লম্পট সিহাব সারোয়ার শিপু কলেজের ভিতরেই হামলা করে। এসময় কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে লম্পট শিপুকে চাইনিজ কুরালসহ আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টায় সালিশ বসে। কিন্তু সালিসের মাধ্যমে সমাধান না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ লম্পট শিপুকে চাইনিজ কুরালসহ টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের হেফাজতে নেয়। এবং পরদিন বিকেলে আবার সালিশ বসে সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে লম্পট শিপুকে গোপনে তা মা সহকারী প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগমের হেফাজতে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু হামলার ঘটনার ৫দিন পেরিয়ে গেলেও হয়নি কোন সালিশ এবং নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ। অথচ লম্পট শিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগে কোন শেষ নেই। ইয়াবা ও পিস্তলসহ লম্পট সিহাব সারোয়ার শিপুকে র‌্যাব গ্রেফতার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেটের বিজিবি স্কুল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। এরআগে ছাত্রীদের স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ইভটিজিং করার অপরাধে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিপুকে বহিস্কার করা হয় বলে ছাত্রছাত্রীরা জানায়। কিন্তু টেকেরঘাট কলেজে হামলার পর লম্পট শিপুকে চাইনিজ কুরালসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আটক করার ৫দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই মুসা বলেন,চাইনিজ কুরালসহ সিহাব সারোয়ার শিপু নামের একজনকে আটক করার বিষয়টি জানতে পেরেছি কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে অস্ত্র জমা দেয়নি এবং লিখিত কোন অভিযোগও করেনি। চুনাপাথর খনি প্রকল্প মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ খাইরুল আলম এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সালিসের মাধ্যমে লম্পট শিহাব সারোয়ার শিপুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সালিসের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছেন সংশ্লিষ্ট কলেজের কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকসহ সর্বস্থরের জনসাধারণ।