শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোলের একজন আলোকিত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিউর রহমান

তানজীর মহসিন :=

১৯৭১সালের আলোকিত মানুষ ও আলোকিত মুক্তিযোদ্ধার  নাম হাজী মশিউর রহমান। সকালের প্রিয় , গর্বিত মানুষ, নির্মানের  মানুষ একজন সফল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত ছিলেন তিনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিউর রহমান ১৯৪২ সালের ১৩ই অক্টোবর ভারতের বনগাঁ থানার কালমেঘা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতার নাম মরহুম হাজী আজিজার রহমানএবং মাতা মরহুম হাজী রিজিয়া খাতুন।

হাজী মশিউর রহমান বনগাঁর ঘোষ ইনিষ্টিটিউট হতে প্রাইমারী জীবন,১৯৫৮সালে বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি, ১৯৬০সালে এম.এম কলেজ,যশোর হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে একই কলেজ থেকেই গ্রাজুয়েলন ডিগ্রী লাভ করেন।

বর্তমানে তিনি সেতু সেন্টার নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক।১৯৮৫ সালে তিনি দেশের উন্নতি সাধনের জন্য শার্শা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। তিনি তাঁর নিজ এলাকায় বহু কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে নেতৃত্ব   দিয়েছেন। তিনি জনগনের আশা আকাঙ্খা পূরনের লক্ষ্যে নির্বাচনে যোগদান করে জয়ী লাভ হওয়া সত্তেও দলীয় কন্দলের প্রকটে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি পিকনিক স্পট এবং মুক্তিযুদ্ধ এভিনিউ নির্মান করেন। স্থানীয় জনসাধারনের সেবাদান, গ্রাম্যঅর্থনীতির উন্নয়ন, সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি ও পরিবেশ বান্ধবঅবস্থা সৃষ্টি করে নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি নিরলস কাজকরে গেছেন।তার জাগ্রত চিন্তাভাবনার প্রয়াসে তিনি ছোটবেলা হতে নারীশিক্ষার প্রতি অনেক জোর দিয়েছিলেন।
নারীকে শিক্ষার দিক থেকে জাগ্রতের উদ্দ্যেশে তার স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে তিনি বেনাপোলে একটি সরকারী মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হাজী মশিউর রহমানের সহধর্মিনী মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রথম এবং প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি ১৯৯৪সালের ৩১ই ডিসেম্বর অবসর গ্রহন করেন। তার সহধর্মিনীর নাম ফরিদা রহমান। তার একমাত্র মেয়ের নাম সাহিদা রহমান সেতু।

জাতীয় পর্যায়ে জনাব হাজী মশিউর রহমান সেরা করদাতা (২০০৮)পদক,মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ক্রেষ্ট ও দুদুকের চেয়ারম্যানের পদের জন্য সম্মাননা লাভ করেন। ভারত, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, ব্যংকক, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার সহ বহু দেশ
হাজী মশিউর রহমান সফর করেছেন।

বর্তমানে বয়সেরচাপে অবসরে হাজী মশিউর রহমানগল্প করতে পছন্দ করুন। তিনি অত্যন্ত মিশুক প্রিয় একজন ব্যক্তি।বর্তমানে হাজী মশিউর রহমান বেনাপোল বাজারে রহমান চেম্বার
মার্কেটের নির্মাতা। হাজী মশিউর রহমানের বেনাপোল দূর্গাপুর এলাকায় একটি উন্নতমানের কলেজেরনির্মান প্রস্তাবিত করলেও তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হওয়া উক্ত স্হানে একটি পিকনিক স্পটসহ মুক্তিযুদ্ধ এভিনিউ নির্মান করেন।

বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসঃ মুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিউর রহমান ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময় ৮নং সেক্টরের ৫নং কমান্ডার ছিলেন। বেনাপোল স্বনামধন্য দুই মুক্তিযোদ্ধা (মৃত) আলহজ্জ আব্দুল হক সাহেব ও তৎকালীন শার্শার এমপি তবিবর রহমানের নেতৃত্বে তিনি মুক্তিযোদ্ধায় অংশগ্রহন করেন। নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় তিনি দেশের
জন্য জাতীর জন্য যুদ্ধ করেছেন। শ্রোদ্ধার সাথে হাজার বছর স্মরন করবে এ অঞ্চলের মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বেনাপোলের একজন আলোকিত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিউর রহমান

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
তানজীর মহসিন :=

১৯৭১সালের আলোকিত মানুষ ও আলোকিত মুক্তিযোদ্ধার  নাম হাজী মশিউর রহমান। সকালের প্রিয় , গর্বিত মানুষ, নির্মানের  মানুষ একজন সফল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত ছিলেন তিনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিউর রহমান ১৯৪২ সালের ১৩ই অক্টোবর ভারতের বনগাঁ থানার কালমেঘা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতার নাম মরহুম হাজী আজিজার রহমানএবং মাতা মরহুম হাজী রিজিয়া খাতুন।

হাজী মশিউর রহমান বনগাঁর ঘোষ ইনিষ্টিটিউট হতে প্রাইমারী জীবন,১৯৫৮সালে বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি, ১৯৬০সালে এম.এম কলেজ,যশোর হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে একই কলেজ থেকেই গ্রাজুয়েলন ডিগ্রী লাভ করেন।

বর্তমানে তিনি সেতু সেন্টার নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক।১৯৮৫ সালে তিনি দেশের উন্নতি সাধনের জন্য শার্শা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। তিনি তাঁর নিজ এলাকায় বহু কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে নেতৃত্ব   দিয়েছেন। তিনি জনগনের আশা আকাঙ্খা পূরনের লক্ষ্যে নির্বাচনে যোগদান করে জয়ী লাভ হওয়া সত্তেও দলীয় কন্দলের প্রকটে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি পিকনিক স্পট এবং মুক্তিযুদ্ধ এভিনিউ নির্মান করেন। স্থানীয় জনসাধারনের সেবাদান, গ্রাম্যঅর্থনীতির উন্নয়ন, সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি ও পরিবেশ বান্ধবঅবস্থা সৃষ্টি করে নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি নিরলস কাজকরে গেছেন।তার জাগ্রত চিন্তাভাবনার প্রয়াসে তিনি ছোটবেলা হতে নারীশিক্ষার প্রতি অনেক জোর দিয়েছিলেন।
নারীকে শিক্ষার দিক থেকে জাগ্রতের উদ্দ্যেশে তার স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে তিনি বেনাপোলে একটি সরকারী মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হাজী মশিউর রহমানের সহধর্মিনী মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রথম এবং প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি ১৯৯৪সালের ৩১ই ডিসেম্বর অবসর গ্রহন করেন। তার সহধর্মিনীর নাম ফরিদা রহমান। তার একমাত্র মেয়ের নাম সাহিদা রহমান সেতু।

জাতীয় পর্যায়ে জনাব হাজী মশিউর রহমান সেরা করদাতা (২০০৮)পদক,মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ক্রেষ্ট ও দুদুকের চেয়ারম্যানের পদের জন্য সম্মাননা লাভ করেন। ভারত, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, ব্যংকক, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার সহ বহু দেশ
হাজী মশিউর রহমান সফর করেছেন।

বর্তমানে বয়সেরচাপে অবসরে হাজী মশিউর রহমানগল্প করতে পছন্দ করুন। তিনি অত্যন্ত মিশুক প্রিয় একজন ব্যক্তি।বর্তমানে হাজী মশিউর রহমান বেনাপোল বাজারে রহমান চেম্বার
মার্কেটের নির্মাতা। হাজী মশিউর রহমানের বেনাপোল দূর্গাপুর এলাকায় একটি উন্নতমানের কলেজেরনির্মান প্রস্তাবিত করলেও তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হওয়া উক্ত স্হানে একটি পিকনিক স্পটসহ মুক্তিযুদ্ধ এভিনিউ নির্মান করেন।

বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসঃ মুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিউর রহমান ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময় ৮নং সেক্টরের ৫নং কমান্ডার ছিলেন। বেনাপোল স্বনামধন্য দুই মুক্তিযোদ্ধা (মৃত) আলহজ্জ আব্দুল হক সাহেব ও তৎকালীন শার্শার এমপি তবিবর রহমানের নেতৃত্বে তিনি মুক্তিযোদ্ধায় অংশগ্রহন করেন। নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় তিনি দেশের
জন্য জাতীর জন্য যুদ্ধ করেছেন। শ্রোদ্ধার সাথে হাজার বছর স্মরন করবে এ অঞ্চলের মানুষ।