রোকনুজ্জামান রিপন :=
বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও জাপানি বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের খাতটিতে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন।সোমবার জাপানের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেরা কোং ইঙ্কের প্রেসিডেন্ট সাতোশি ওনোদা তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের জন্য জেরাসহ জাপানি কোম্পানিগুলোর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারের পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন।জেরার প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে তাদের কোম্পানি এখন জাপানে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে যা দেশটির মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ।
সাতোশি ওনোদা প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে রিলায়েন্স বাংলাদেশ পাওয়ার ও এলএনজি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তারা মেঘনাঘাটে একটি ৭১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। ২০২২ সালের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে।তিনি বলেন, জেরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৩৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। আমরা সামিটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরও কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চাই।
সাতোশি ওনোদা আরও বলেন, সামিট-জেআরএ-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম ইতিমধ্যে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দিয়েছে।সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।