বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘রোবট চিকিৎসক’ তৈরি করলো বাংলাদেশ

তানজীর মহসিন অংকন :=

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাঁচ শিক্ষার্থী বিস্ময়কর একটি রোবট বানিয়েছে। রোবটটিকে চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। রোবটটির নাম ‘মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিকেল’। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগর ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন খানের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রো মেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, আনাসুর রহমান, মীর আমিন, মেহেদী হাসান ও ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল মোন্নাফ ‘মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল’ রোবটটি তৈরি করেছেন।

এতে সহযোগিতা করেছেন ইলেক্ট্রো মেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) আবুল কাশেম।রোবটটিতে বিপি মনিটর, ইসিজি সেন্সর, পালস্ অক্সিমেটরি সেন্সর, জিসিইউ সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও থার্মাল স্ক্যানার যুক্ত করে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছে।

আর চলাফেরার জন্য ক্যামেরা ও আলট্রাসনিক সেন্সর লাগানো হয়েছে। এছাড়া সালাম দেওয়াসহ দেশের নাম, জাতির জনকের নাম ও প্রধানমন্ত্রীর নামও বলতে পারে এ রোবট। রোবটটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।মাদকাসক্ত কাউকে শনাক্ত করতে এবং আগুন লাগার খবর দিতে রোবটটিতে নতুন ফিচার হিসেবে অ্যালকোহল ডিটেক্টর ও ফায়ার অ্যালার্ম যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

রোবটটি যে কোনও জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপস্ তৈরির কাজও করছে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী।রোবট নির্মাতারা জানান, হাসপাতালে ডাক্তার না থাকলেও এ রোবট যেন চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে সেজন্য তারা এটিকে আরও আধুনিক ও উন্নত করার চেষ্টা করছেন। নির্মাতাদের দাবি, কোনও ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে কেউ না যেতে চাইলে, রোবটটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে গিয়ে তার শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, হার্টবিট ও অক্সিজেনের পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবে। একইসঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ওষুধ ও খাবার সরবরাহ করতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

‘রোবট চিকিৎসক’ তৈরি করলো বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৭:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
তানজীর মহসিন অংকন :=

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাঁচ শিক্ষার্থী বিস্ময়কর একটি রোবট বানিয়েছে। রোবটটিকে চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। রোবটটির নাম ‘মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিকেল’। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগর ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন খানের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রো মেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, আনাসুর রহমান, মীর আমিন, মেহেদী হাসান ও ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল মোন্নাফ ‘মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল’ রোবটটি তৈরি করেছেন।

এতে সহযোগিতা করেছেন ইলেক্ট্রো মেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) আবুল কাশেম।রোবটটিতে বিপি মনিটর, ইসিজি সেন্সর, পালস্ অক্সিমেটরি সেন্সর, জিসিইউ সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও থার্মাল স্ক্যানার যুক্ত করে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছে।

আর চলাফেরার জন্য ক্যামেরা ও আলট্রাসনিক সেন্সর লাগানো হয়েছে। এছাড়া সালাম দেওয়াসহ দেশের নাম, জাতির জনকের নাম ও প্রধানমন্ত্রীর নামও বলতে পারে এ রোবট। রোবটটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।মাদকাসক্ত কাউকে শনাক্ত করতে এবং আগুন লাগার খবর দিতে রোবটটিতে নতুন ফিচার হিসেবে অ্যালকোহল ডিটেক্টর ও ফায়ার অ্যালার্ম যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

রোবটটি যে কোনও জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপস্ তৈরির কাজও করছে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী।রোবট নির্মাতারা জানান, হাসপাতালে ডাক্তার না থাকলেও এ রোবট যেন চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে সেজন্য তারা এটিকে আরও আধুনিক ও উন্নত করার চেষ্টা করছেন। নির্মাতাদের দাবি, কোনও ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে কেউ না যেতে চাইলে, রোবটটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে গিয়ে তার শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, হার্টবিট ও অক্সিজেনের পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবে। একইসঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ওষুধ ও খাবার সরবরাহ করতে পারবে।