সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ:=
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দ্বিতীয় দিনের মত দু দেশের মধ্যে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ ছিল আমদানি রফতানি বানিজ্য। ফলে দুদেশের বন্দর এলাকায় হাজার হাজার পন্য বোঝাই ট্রাক আটেকা আছে। বিশেষ করে উচ্চ পচনশীল পণ্য নস্ট হওয়ায় আশংকা দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারতীয় সীমান্তরী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা বেনাপেল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টের স্টাফদের কাগজপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ হয়ে যায়।
তবে কাস্টমসের কর্মকর্তরা আমদানী-রপ্তানী চালু করতে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার সকালে কাস্টমস , বন্দর ও সিএন্ডএফ এজেন্টস সহ অন্যন্য ব্যবসায়ী সংগঠন গুলো ভারতের কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোন সমাধান হয়নি।
ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক শ্রী কার্তিক চন্দ্র জানান, মালামাল রপ্তানীর জন্য কাগজপত্র নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে দিয়ে বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখায় প্রবেশ করতে গেলে হঠাৎ করে বিএসএফ এর বাধার মুখে পড়ে আমাদের সদস্যরা। প্রত্যেক কর্মচারীকে বিএসএফের বাধার কারণে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। যে কারণে মুহুর্তের মধ্যে ভারতের সাথে সব ধরনের আমদানী রপ্তানী বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন জানান, ভারতীয় সীমান্তরী বাহিনী বিএসএফ সিএন্ডএফ স্টাফ দের পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকতে না দেওয়া গতকাল থেকে থেকে ভারতের সাথে আমাদানী-রপ্তানী বন্ধ রয়েছে। তবে কি কারণে তারা স্টাফদের ভারতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তা এখনো জানা যায়নি। আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে কাজ কর্ম রয়েছে স্বাভাবিক । দু দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতও অব্যাহত আছে।
বেনাপোল কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, দু দেশের সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফরা যাতে দ্রুত বন্দর এলাকায় প্রবেম করতে পারে সেজন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে সে দেশে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সফরের কারণে সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারীর ফলে বাংলাদেশ থেকে কোন সিএন্ডএফ কর্মচারীকে ভারতে ঢুকতে দিচ্ছে না।