
তানজীর মহসিন :=
‘আমাদের রক্তের সঙ্গে ভারতের রক্ত মিশে আছে। কাজেই ভারতকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো তো অকৃতজ্ঞতার পরিচয়। পাশাপাশি অসম্পূর্ণ একটা বিষয় হিসেবে থেকে যায়।‘
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশেও রাজনীতিতে বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এ নিয়ে সরকার আর বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কটা সুখকর নয়। কিন্তু সেটা তো অন্যদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব আসার কথা নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষ বাংলাদেশের জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বিষয়। অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছি। ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর মূল কারণ-তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছে। আমাদের শরণার্থীদের সাহায্য করেছে। ভারতই আমাদের অস্ত্র ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোপরি মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ কমান্ডে মুক্তিযুদ্ধের শেষ অংশে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনে ছিলাম। এখানে আমাদের রক্তের সঙ্গে ভারতের রক্ত মিশে আছে। কাজেই ভারতকে এই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো তো অকৃতজ্ঞতার পরিচয়। পাশাপাশি অসম্পূর্ণ একটা বিষয় হিসেবে থেকে যায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী ও মিত্র দেশ হিসেবে ভারতে মুজিববর্ষে আমন্ত্রণ করেছি। তাদের দেশের অভ্যন্তরের কোনো বিষয়ে যে সংঘাত, সংঘর্ষ, রাজনৈতিক বিরোধ- এটা চিন্তা করে তো আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি।
‘আর তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আমাদের এখানে কোনো বিরোধ- প্রতিক্রিয়া হলে এ বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই সমাধান করতে পারি। কিন্তু এ রকম একটা অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ ভারত এবং স্বাধীনতার যুদ্ধে সহযোগিতাকারী প্রধান দেশ হিসেবে সে দেশের প্রতিনিধিত্বকে আমরা বাদ দেবো- এটাতো চিন্তাও করা যায় না।’
এছাড়া দিল্লিতে চলা দাঙ্গা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটা আজ দিল্লিতে ঘটছে সেটা তাদের (ভারত) অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে আমরা কেন অযথা নাক গলাতে যাবো। তাঁদের ইন্টারনাল সমস্যার সমাধান তারাই খুঁজে নেবে।