
সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ :=
বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অবশ্য তিনিই দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
বোর্ড আর গণমাধ্যমে সৃষ্ট গুঞ্জন থেকে আলোচনা- এটাই অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ সিরিজ? কেউ কেউ ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ হিসেবেও দেখছেন।
বলতে গেলে, মাশরাফিকে নিয়ে এক প্রকার কানাঘুষাই চলছে ক্রিকেটপাড়ায়। বিশ্বকাপে উইকেট-খরায় ভুগছিলেন। বিপিএলে চোট নিয়েই খেলেছেন। এরপর দীর্ঘদিন ছিলেন না অনুশীলনেও। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফেরায় নিন্দুকরা তাই মাশরাফির সমালোচনায় মগ্ন।
রবিবার ( ০১ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এর আগে শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাশরাফী বলেন, আমি জানি না এই সিরিজের পর কী হবে। দলের প্রয়োজনে আমাকে যেখানেই রাখুক আমি সেখানেই থাকবো। দেখেন আমি যেখানে জানি, ক্রিকেট বোর্ড সবসময় আমাদের অভিভাবকের মতো। তারা যে কোনো বিষয়ে দশবার ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে এটাই আশা করি।
পাকিস্তান সফরে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সেই সফরের আগে বোর্ড যদি আমাকে দলের সঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে তখন আমি সে ব্যাপারে কথা বলবো।
খারাপ করার পরও অবসর না নেয়ায় মাশরাফীর লজ্জা ও আত্মসম্মানবোধ নিয়ে প্রশ্ন করে বসেন এক সাংবাদিক। এতে ক্ষেপে যান নড়াইল এক্সপ্রেস। তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বসেন, আমি কি চুরি করি? আমি কি চোর? চারদিকে এতো চুরি হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে। আমি এক ম্যাচ উইকেট না পেলে আমার লজ্জা নাই, আত্মসম্মানবোধ নাই! আমি পারিনি, আমাকে বাদ দিয়ে দেবে। বিষয়টা সিম্পল।
এসময় তিনি আরো যোগ করেন, আমি কি বাংলাদেশের বিপক্ষের লোক? আমি তো বাংলাদেশের হয়েই খেলতে নামি। ডেডিকেশনটা কি কেউ দেখে না? কেউ খারাপ করলেই সমালোচনা হতেই পারে, এটা সারাবিশ্বেই হয়। কিন্তু এর ফলে যখন লজ্জা নিয়ে কথা ওঠে তখন আমার প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট খেলতে এসে কি আমি আত্মসম্মানবোধ বিসর্জন দিতে এসেছি?