আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :=
পরাধীনতার অন্ধকার থেকে স্বাধীনতার মুক্তি, বাঙ্গালি জাতির পরম প্রাপ্তি- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ সোমবার বিকেলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ”বংগবন্ধু কর্নার ও জন্ম শত বার্ষিকীর ক্ষণগণনা ঘড়ির উদ্ধোধন করেন কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। উদ্বোধনকালে সাথে ছিলেন, কাস্টমস’র অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম, যুগ্ন কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার পারভেজ খান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার উওম চাকমা ও মুর্শিদা খাতুন, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, বেনাপোল প্রেস কাবের সভাপতি মহসিন মিলন, সাধারন সম্পাদক রাশেদুর রহমান রাশু।
কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার আলোক বর্তিকা সুদূর অন্ধকার বন্ধুর পথ মাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা। তিনি বাঙ্গালি জাতিকে অমানিশামুক্ত করতে নিজের সমগ্র জীবন বিপন্ন করেছেন। আজ আমরা আলোর ভূবনে বর্ণময়। মানুষের জীবন আলো আঁধারময়। জ্ঞান, বুদ্ধি, চিন্তা চেতনার বিকাশ, স্বাধীনতা অর্জন প্রভৃতির মধ্য দিয়ে আঁধার কেটে আলোর পথের দিশা পেয়ে থাকে। বঙ্গন্ধুর জীবনাচরণ আমাদের সে শিা দেয়। বাঙ্গালি জাতি শোষণ নিষ্পেষণের মধ্যে জর্জরিত আঁধার জীবনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আলোর দিশা। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘসংগ্রাম মুখর জীবন দাবার ছকের মতো সাদা-কালো মোড়ানো। জীবনব্যাপী প্রাসাদ ষড়ন্ত্রের মোকাবেলা করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কূটবুদ্ধি পরাভূত করে বিশ্বের শত কূটচাল মাড়িয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। বঙ্গন্ধুর জীবনাচারের অন্ধকারের মানে সংগ্রাম ও দুর্দম আলোকিত অবদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ সাজিয়েছি। সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায় এখানে সাদা কালোয় বিভিন্ন ছকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও উক্তি আমাদের কাছে দৃশ্যমান। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁকে কোন চোখে দেখতেন, কি ভাবতেন, কিভাবে শ্রদ্ধা সম্মান দেখিয়েছেন সেগুলো এতদিন বিচ্ছিন্নভাবে লেখা ছিল। বিশ্ব মনীষীদের সেসব উক্তিগুলো একত্র করেছি। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি, সিএন্ডএফ, দর্শনার্থী/ছাত্র-ছাত্রী সকলে জানতে পারবে।
প্রত্যাশা, বেনাপোল শার্শা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের জ্ঞান বিতরণের জন্য বাঙ্গালি জাতির হিরন্ময় প্রাপ্তির আলো-আঁধারি ইতিহাসকে জানতে পারবে। এখানে আছে বঙ্গবন্ধুর ছবি, ভাষণ, বই ও বিশ্ব নেতাদের শ্রদ্ধাভক্তিযুক্ত উক্তি। এই কর্নার একটি অনন্য সংগ্রহশালা। বেনাপোল কাস্টম হাউসের বিনম্ন শ্রদ্ধা।