সুনামগঞ্জে ৩ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও এনজিও মাঠকর্মী,এলাকায় উত্তেজনা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন থেকে রুবেল আহমেদ নামে এক এনজিও মাঠকর্মী নতুন ঋণ গ্রহিতা ও কিস্তি জমাদানকারীদের কাছ থেকে উৎত্তলিত ৩ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও। এদিকে নতৃন ঋণ গ্রহিতারা প্রতিদিনই তাহিরপুর উপজেলায় টিএমএসএস অফিসে এসে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া টাকা ফেরৎ চাইলেও অফিসের লোকজন এবিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না। এতে প্তি হয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ঋণের জন্য টাকা প্রদানকারী ব্যক্তিদের মাঝে।
জানাযায়,রুবেল আহমেদ টিএমএসএস তাহিরপুর শাখায় কর্মরত অবস্থায় তাহিরপুর সদর,বালিজুরী ও দণি বড়দল ইউনিয়নে ঋণ প্রদান ও ঋণ আদায় এর দায়িত্ব পালন করে আসছিল। তার গ্রামের বাড়ি নাটোর। এর মধ্যে রুবেল আহমেদ ঋণ প্রদান ও ঋণ আদায় কথা বলে কারো কাছ থেকে ১০হাজার কারো কাছে আরো বেশী টাকা নিয়ে মাসাধিককাল পূর্বে সে হঠাৎ করে ছুটি নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয় রুবেল আহমেদ। এছাড়াও অনেক পুরনো ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকেও কিস্তির টাকা উত্তোলন করে এনে তাদের নামে অফিসের খাতায় জমা দেন নি বলেও একাধিক কিস্ত প্রদানকারীরা জানায়।
এদিকে,মাঠকর্মী রুবেল আহমেদের ফোন বন্ধ থাকায় নতুন ঋণ গ্রহিতারা টিএমএসএস অফিসের এসে তার ঋণের খোঁজ খবর নিলে জানতে পায় রুবেল আহেমেদ পালিয়ে গেছেন।
এবিষয়ে মাঠকর্মী রুবেল আহেমেদ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল (০১৭৬৩৩৮৩৯২৮)বন্ধ থাকায় কোন ভাবেই যোগাযোগ সম্ভব হয় নি।
টিএমএসএস তাহিরপুর শাখা ম্যানেজার আরিফুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি এখানে নতুন এসেছি,ঊর্ধ্বততন কর্তপ ছাড়া এবিষয়ে কিছুই করতে পারব না।
কতৃপক্ষের এমন কথায় অনেক গ্রাহক এখন হতাশায় ভুগছেন এবং ক্ষোবের সাথে উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের আনোয়ার হোসন জানান,নতুন ঋণ পাবার আশায় তিনি ঋণ করে ১০হাজার টাকা এনে দিয়েছেন রুবেলের কাছে। এখন ঋণ না পেলাম যে টাকা দিয়েছি সেই টাকা কি এখন পাব না পাব না। কতৃপক্ষ কিছুই বলছে না। একই অবস্থার কথা জানালে আনোয়রপুর গ্রমের এহিয়া তালুকদার তিনিও জানান,তার কাছ থেকে রুবেল আহমেদ ১০হাজার নিয়েছেন নতুন ঋণের জামানতের জন্য। এখন তার কোন খবর ত পাই নি। না পেয়ে তাহিরপুর অফিসে এসেছিলাম তারাও কিছু বলছে না।
চিকসা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য শফিক আহমেদ জানান,রুবেল আহমেদ দেড়মাস পূর্বে নতুন ঋণ ১ল টাকা দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ১০হাজার টাকা জামানত হিসেবে নেয়। বর্তমানে নতুন ঋণ দূরের কথা তিনি তার আসল টাকাই ফেরৎ পাচ্ছেন না। তাদের মত অনেক গ্রাহক এখন হতাশায় ভুগছেন।