মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মে`রে ফেলা হয়েছে তাপস পালকে, দাবি স্ত্রীর!

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাই নগরীর বান্দ্রার এক হাসপাতালে মা-রা যান পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা ও সাবেক সাংসদ তাপস পাল।গতকাল বুধবার এই মৃ-ত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী পাল। তিনি অভিযোগ করছেন, তার স্বামীকে মে-রে ফেলা হয়েছে।

তিনি ন্যায়বিচার চান বলেও জানান নন্দিনী। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে রয়েছেন তাপসের স্ত্রী। সেখান থেকে ফোনে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি বলেন, “আমার স্বামীকেওই হাসপাতাল মেরে ফেলেছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাইতে মুম্বাইয়ে এসেছি।” নন্দিনীর দাবি, গত ১ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ তাপসকে তিনি বান্দ্রার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগ, তাপসের অসুস্থতার সম্পর্কে বলতে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তা শুনতে রাজি হননি। উল্টে বলেন, রোগীর ‘পাস্ট হিস্ট্রি’ শুনতে তিনি উৎসাহী নন।অভিযোগ, অসুস্থ তাপস পালকে দেখে ওই চিকিৎসক নন্দিনীকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কেন ওকে হাসপাতালে এনেছেন?”

এমনকি ৫০ হাজার টাকা জমা না করলে তাপসের চিকিৎসা শুরু করা হবে না বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় বলে নন্দিনীর অভিযোগ।কিন্তু মাঝরাতে তার কাছে অত টাকা না থাকায় মেয়ের বাড়িওয়ালার সাহায্যে টাকার বন্দোবস্ত করে তাপসকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয় বলে দাবি নন্দিনীর!

নন্দিনীর দাবি, ৭ ফেব্রুয়ারি তাপস পালের ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হয়। তাপস তখন একেবারেই সুস্থ ছিলেন বলে দাবি করে তাঁর স্ত্রী এ দিন বলেন, “আমার দিকে তাকিয়ে ওহাসল। বলল, বাপরে তুমি যা করলে! আমি বলেছিলাম, তুমি একদম ঠিক আছো।” এর পর থেকেই সমস্যা শুরু হয় বলে অভিযোগ করে নন্দিনী জানান, ঠিকমতো খেতে দেওয়া হত না তাপস পালকে।

নার্সরা ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার এনে খাওয়াতে বলত। এ নিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে এক দিন নার্সদের ঝামেলাও হয়ে বলে নন্দিনীর অভিযোগ। তার আরও দাবি, হাসপাতালকর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ফের অসুস্থ হয়ে যান তাপস পাল। আমার সম্মতিতেই ডায়ালিসিস শুরু হয়। নন্দিনী এ দিন বলেন, “হঠাৎ দেখি তাপসকে এক দিন বেঁধে রেখেছে।

কেন জানতে চাওয়ায় ওরা বলেন, এখন শিফ্টিং চলছে। ওকে কারও নজরে রাখা সম্ভব নয়।” নন্দিনী আরও অভিযোগ করেছেন, তাপস পালের প্রস্রাব স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেওতাকে ক্যাথিটার পরিয়ে রাখা হয়। নন্দিনী জানান, এই পরিস্থিতিতেই তারা ঠিক করেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি তাপসকে নিয়ে কলকাতায় ফিরবেন। কিন্তু সে দিন রাতেই সব ওলটপালট হয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।

নন্দিনীর দাবি, ওই দিন হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় তাপস পালের হিমোগ্লোবিন কমে ৩.৫ হয়ে গিয়েছে। তার কথায়, “ওই দিন সকালেই আমি দেখেছিতাপসের হিমোগ্লোবিন ৯। আশ্চর্য রকম ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমতির জন্য অপেক্ষা না করেই ওকে রক্তও দেননি। এর পর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। পর পর।

তখনও সিনিয়র কোনও ডাক্তার নেই। এক জন ট্রেনি আর অন্য এক ডাক্তার।” গোটা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বি-রু-দ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচারের দাবিজানাচ্ছেন নন্দিনী। তিনি বলেন, “তাপসের সম্পর্কে এত অন্যায়, এত ভুল কথা শুনতে হয়েছে যে, মেয়ে এবং আমি আর পেরে উঠছি না। তবে এই মৃ’-ত্যু-র বিচার আমি চাইবই। ছাড়ব না।”এ বিষয়ে মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

পেট্টাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মে`রে ফেলা হয়েছে তাপস পালকে, দাবি স্ত্রীর!

প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাই নগরীর বান্দ্রার এক হাসপাতালে মা-রা যান পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা ও সাবেক সাংসদ তাপস পাল।গতকাল বুধবার এই মৃ-ত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী পাল। তিনি অভিযোগ করছেন, তার স্বামীকে মে-রে ফেলা হয়েছে।

তিনি ন্যায়বিচার চান বলেও জানান নন্দিনী। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে রয়েছেন তাপসের স্ত্রী। সেখান থেকে ফোনে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি বলেন, “আমার স্বামীকেওই হাসপাতাল মেরে ফেলেছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাইতে মুম্বাইয়ে এসেছি।” নন্দিনীর দাবি, গত ১ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ তাপসকে তিনি বান্দ্রার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগ, তাপসের অসুস্থতার সম্পর্কে বলতে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তা শুনতে রাজি হননি। উল্টে বলেন, রোগীর ‘পাস্ট হিস্ট্রি’ শুনতে তিনি উৎসাহী নন।অভিযোগ, অসুস্থ তাপস পালকে দেখে ওই চিকিৎসক নন্দিনীকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কেন ওকে হাসপাতালে এনেছেন?”

এমনকি ৫০ হাজার টাকা জমা না করলে তাপসের চিকিৎসা শুরু করা হবে না বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় বলে নন্দিনীর অভিযোগ।কিন্তু মাঝরাতে তার কাছে অত টাকা না থাকায় মেয়ের বাড়িওয়ালার সাহায্যে টাকার বন্দোবস্ত করে তাপসকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয় বলে দাবি নন্দিনীর!

নন্দিনীর দাবি, ৭ ফেব্রুয়ারি তাপস পালের ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হয়। তাপস তখন একেবারেই সুস্থ ছিলেন বলে দাবি করে তাঁর স্ত্রী এ দিন বলেন, “আমার দিকে তাকিয়ে ওহাসল। বলল, বাপরে তুমি যা করলে! আমি বলেছিলাম, তুমি একদম ঠিক আছো।” এর পর থেকেই সমস্যা শুরু হয় বলে অভিযোগ করে নন্দিনী জানান, ঠিকমতো খেতে দেওয়া হত না তাপস পালকে।

নার্সরা ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার এনে খাওয়াতে বলত। এ নিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে এক দিন নার্সদের ঝামেলাও হয়ে বলে নন্দিনীর অভিযোগ। তার আরও দাবি, হাসপাতালকর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ফের অসুস্থ হয়ে যান তাপস পাল। আমার সম্মতিতেই ডায়ালিসিস শুরু হয়। নন্দিনী এ দিন বলেন, “হঠাৎ দেখি তাপসকে এক দিন বেঁধে রেখেছে।

কেন জানতে চাওয়ায় ওরা বলেন, এখন শিফ্টিং চলছে। ওকে কারও নজরে রাখা সম্ভব নয়।” নন্দিনী আরও অভিযোগ করেছেন, তাপস পালের প্রস্রাব স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেওতাকে ক্যাথিটার পরিয়ে রাখা হয়। নন্দিনী জানান, এই পরিস্থিতিতেই তারা ঠিক করেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি তাপসকে নিয়ে কলকাতায় ফিরবেন। কিন্তু সে দিন রাতেই সব ওলটপালট হয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।

নন্দিনীর দাবি, ওই দিন হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় তাপস পালের হিমোগ্লোবিন কমে ৩.৫ হয়ে গিয়েছে। তার কথায়, “ওই দিন সকালেই আমি দেখেছিতাপসের হিমোগ্লোবিন ৯। আশ্চর্য রকম ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমতির জন্য অপেক্ষা না করেই ওকে রক্তও দেননি। এর পর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। পর পর।

তখনও সিনিয়র কোনও ডাক্তার নেই। এক জন ট্রেনি আর অন্য এক ডাক্তার।” গোটা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বি-রু-দ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচারের দাবিজানাচ্ছেন নন্দিনী। তিনি বলেন, “তাপসের সম্পর্কে এত অন্যায়, এত ভুল কথা শুনতে হয়েছে যে, মেয়ে এবং আমি আর পেরে উঠছি না। তবে এই মৃ’-ত্যু-র বিচার আমি চাইবই। ছাড়ব না।”এ বিষয়ে মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।