বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যশোরে মেসের ছাত্র-ছাত্রীদের বায়োডাটা নিচ্ছে পুলিশ

যশোর  ব্যুরো :=

যশোর সদর উপজেলা এলাকার ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাসের সকল বাড়ির মালিক ও মেস মালিকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী সচেতনলক মূলক দিক নির্দেশনা বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদক, চাঁদাবাজ ও ইভটিজিং প্রতিরোধের উপর, আবাসিক এলাকায় কিশোর গ্যাং মেস ভাড়া নিয়ে আপনাদের বাড়িতে বসবাস করছে। বাড়ি ওয়ালার ১৮ উদ্ধে বয়সের ছেলে ও বাড়িওয়ালা এক সাথে বসবাস করা যাবেনা। এক্ষেত্রে মহিলা আনছার দিয়ে বাড়ির সিকিউরিটি হিসাবে বাখবেন এবং আপনারা আলাদা ভাবে থাকবেন। ছেলে মেসের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যাবসায়ি, মাদক সেবনকারী, জঙ্গি যদি আপনাদের মেসে পাওয়া যায় তাহলে আপনারা বাড়িওয়ালারা ছাড় দেয়া হবেন না। ওই বিল্ডিং ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।

প্রত্যেকটা মেসের ডাটা ব্যাস রেজিষ্টেশন করা বাধ্যতামুলক। অনেক সময় জোর পূর্বক মেসের ছাত্রদের মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়। যদি কোন ছাত্র বা ছাত্রী স্বেচ্ছায় মিছিল করে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু জোর কেরে যদি কাউকে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হয় তাহলে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ক্ষেত্রে শ্রমিক সমমানের লোকজন মেস ভাড়া নিয়ে সেখানে জুয়া ও মাদকের আস্তনা গড়ে তোলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার মেসে যদি বড় ধরনের কোন সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজসহ বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় তাহলে পুলিশ আপনাকেও ছাড় দেবে না। পরে আপনি আদালতে যেয়ে নিরাপরাধ প্রমাণ করে আসবেন। পৌরসভা থেকে স্বাস্থছাড় পত্র নিতে হবে। অনেক সময় বাড়ির পানির ট্যাংকের ভিতর অস্ত্র ও পানির ট্যাপের ভিতর মাদক লুকিয়ে রাখে এগুলি আপনাদের দায়িত্বের ভিতর রেখে খেয়াল রাখতে হবে। মেসের তালিকা করে প্রত্যেকটি মেসে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ছাত্রদের প্রয়োজন রোধে ডোবটেষ্ট করা হবে। শহর জুড়ে সিটিজেন ডাটা বেজ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। ভাসমান অপরাধীরা সাধারণত হোটেল অথবা মেসে উঠে অপরাধ করতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে মহিলা মেসের ক্ষেত্রে বখাটেদের উৎপাত চলে। এক্ষেত্রে আপনারা পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারেন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করবেন। আপনর নাম গোপন রাখা হবে।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল নাসের বলেন, খারাপ ছেলেদের সনাক্ত করে পুলিশকে জানান, সদর ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক তুষার কুমার মন্ডল, চাঁচড়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শাহাজাহান আহম্মেদ ও পুরাতন কসবা ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মিলন কুমার মন্ডল এবং মেস মালিকদের ভিতর আরবপুর এলাকার জসিম উদ্দিন, সৌনিক ইসলাম, জয়া তৃৃৃৃষা কম্পেলেক্স এরপক্ষে মালবিকা, ষ্টেডিয়াম পাড়া এলাকার আতিয়ার রহমান, মোজাপ্ফার হোসেন, লুইন হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, নীলগঞ্জ শাহা পাড়া এলাকার আবুল খায়ের, বিমান বন্দর সড়ক শতাধিক মেস মালিক উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে উপ-পরিদর্শক (এস আই ) জাহিদ (ডিএসবি) সাথে মেস মালিকদের যোগাযোগ করে মেস মালিকের ডাটাবেসসহ মোবাইল নাম্বার এবং ছাত্র বা ছাত্রীর বায়োডাটা ছবি জমা দিতে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

যশোরে প্রাচ্যসংঘের ইফতার মাহফিল

যশোরে মেসের ছাত্র-ছাত্রীদের বায়োডাটা নিচ্ছে পুলিশ

প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
যশোর  ব্যুরো :=

যশোর সদর উপজেলা এলাকার ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাসের সকল বাড়ির মালিক ও মেস মালিকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী সচেতনলক মূলক দিক নির্দেশনা বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদক, চাঁদাবাজ ও ইভটিজিং প্রতিরোধের উপর, আবাসিক এলাকায় কিশোর গ্যাং মেস ভাড়া নিয়ে আপনাদের বাড়িতে বসবাস করছে। বাড়ি ওয়ালার ১৮ উদ্ধে বয়সের ছেলে ও বাড়িওয়ালা এক সাথে বসবাস করা যাবেনা। এক্ষেত্রে মহিলা আনছার দিয়ে বাড়ির সিকিউরিটি হিসাবে বাখবেন এবং আপনারা আলাদা ভাবে থাকবেন। ছেলে মেসের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যাবসায়ি, মাদক সেবনকারী, জঙ্গি যদি আপনাদের মেসে পাওয়া যায় তাহলে আপনারা বাড়িওয়ালারা ছাড় দেয়া হবেন না। ওই বিল্ডিং ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।

প্রত্যেকটা মেসের ডাটা ব্যাস রেজিষ্টেশন করা বাধ্যতামুলক। অনেক সময় জোর পূর্বক মেসের ছাত্রদের মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়। যদি কোন ছাত্র বা ছাত্রী স্বেচ্ছায় মিছিল করে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু জোর কেরে যদি কাউকে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হয় তাহলে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ক্ষেত্রে শ্রমিক সমমানের লোকজন মেস ভাড়া নিয়ে সেখানে জুয়া ও মাদকের আস্তনা গড়ে তোলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার মেসে যদি বড় ধরনের কোন সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজসহ বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় তাহলে পুলিশ আপনাকেও ছাড় দেবে না। পরে আপনি আদালতে যেয়ে নিরাপরাধ প্রমাণ করে আসবেন। পৌরসভা থেকে স্বাস্থছাড় পত্র নিতে হবে। অনেক সময় বাড়ির পানির ট্যাংকের ভিতর অস্ত্র ও পানির ট্যাপের ভিতর মাদক লুকিয়ে রাখে এগুলি আপনাদের দায়িত্বের ভিতর রেখে খেয়াল রাখতে হবে। মেসের তালিকা করে প্রত্যেকটি মেসে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ছাত্রদের প্রয়োজন রোধে ডোবটেষ্ট করা হবে। শহর জুড়ে সিটিজেন ডাটা বেজ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। ভাসমান অপরাধীরা সাধারণত হোটেল অথবা মেসে উঠে অপরাধ করতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে মহিলা মেসের ক্ষেত্রে বখাটেদের উৎপাত চলে। এক্ষেত্রে আপনারা পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারেন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করবেন। আপনর নাম গোপন রাখা হবে।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল নাসের বলেন, খারাপ ছেলেদের সনাক্ত করে পুলিশকে জানান, সদর ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক তুষার কুমার মন্ডল, চাঁচড়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শাহাজাহান আহম্মেদ ও পুরাতন কসবা ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মিলন কুমার মন্ডল এবং মেস মালিকদের ভিতর আরবপুর এলাকার জসিম উদ্দিন, সৌনিক ইসলাম, জয়া তৃৃৃৃষা কম্পেলেক্স এরপক্ষে মালবিকা, ষ্টেডিয়াম পাড়া এলাকার আতিয়ার রহমান, মোজাপ্ফার হোসেন, লুইন হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, নীলগঞ্জ শাহা পাড়া এলাকার আবুল খায়ের, বিমান বন্দর সড়ক শতাধিক মেস মালিক উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে উপ-পরিদর্শক (এস আই ) জাহিদ (ডিএসবি) সাথে মেস মালিকদের যোগাযোগ করে মেস মালিকের ডাটাবেসসহ মোবাইল নাম্বার এবং ছাত্র বা ছাত্রীর বায়োডাটা ছবি জমা দিতে বলা হয়েছে।