
রোকনুজ্জামান রিপন :=
যশোরে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সম্মেলনে সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় আনতে দু’দেশ একমত পোষন করেছে। একইসাথে সীমান্তে যৌথ টহল বৃদ্ধির প্রস্তাবনা করা হয়েছে। আর দু’দেশের সীমান্তে এ টহল জোরদার করা হলে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান রোধ করা সম্ভব হবে বলে জাননো হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাতে যশোরের একটি অভিজাত হোটেলে বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার ও বিএসএফ আইজি পর্যায়ে সমন্বয় সম্মেলনের দিন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা এসব কথা জানান। দিনব্যাপী এ সমন্বয় সম্মেলনে সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয়। এগুলো হলো, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা। অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধভাবে উভয় দেশের নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম বন্ধকরা, সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়, সীমান্তে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফ এর সমন্বিত টহল বৃদ্ধি ও উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পারিক আস্থা বৃদ্ধিতে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপের আয়োজন করা।সম্মেলনে যশোর ও রংপুর রিজিয়ন বিজিবি কমান্ডার এবং আইজি বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গোহাটি ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বিজিবি দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ও বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়ার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশ গ্রহণ করেন। আগামী ৮ মার্চ প্রতিনিধিদলের যৌথ সাক্ষরের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হবে।যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়া, নর্থ বেঙ্গল আইজি আশ্মিনি কুমার শিং, গোহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজি পিয়ূষ মরদিয়া, ডিআইজি জিতেন্দ্র কুমার রুদেলা, ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া, ডিআইজি রাজিভা রঞ্জন শর্মা, স্টাফ অফিসার রবি রঞ্জন, রাজেশ কুমার রায়নাসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা