বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গণজমায়েত সীমিত করার নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

মো: নুরুজ্জামান লিটন :=

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে খেলাধুলা, ধর্মীয় ও সামাজিক গণজমায়েত সীমিত করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে গণজমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সোমবার বিকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব নির্দেশনার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করে তুলতে মন্ত্রণালয় থেকে সচেতনতামূলক ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট সারাদেশে পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই করোনাভাইরাস কিন্তু এতটা মারাত্মক নয়। এটা ইভোলা ও সার্সের মতো নয়। এর মৃত্যুহার খুবই কম। সে দিকে আশা করি আমরা অনেক সেইভে আছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যতটুকু সম্ভব আমরা এই ভাইরাস প্রতিরোধ করবো। এর বড় উপায় হলো বিদেশ থেকে যারা আসছেন তারাই যেহেতু এটা বহন করছেন, এজন্য তাদের বলব, নিজ নিজ জায়গায় থাকতে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দূতাবাসে বার্তা পাঠানো হয়েছে। যারা দেশে আসবেন তাদের সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। জেলা পর্যায়েও জানিয়েছি প্রয়োজনে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা বুঝতেই পারছিলাম এটা আসবে, সুতরাং সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটা প্রতিরোধ করতে পারবো।’

এ সময় তিনি সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহার করার এবং করমর্দন না করার আহ্বান জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয় জানিয়ে মন্ত্রী এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। গুজব না ছড়িয়ে সচেতনতা বাড়াতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী। এছাড়া এই সুযোগে মাস্কসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যারা বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী জানান, করোনা সংক্রমণ হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংক একশ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে যতটুকু পারি করবো। আর কেউ সহযোগিতায় এগিয়ে এলে তা নেব। এছাড়া দেশীয় বড় বড় কোম্পানিকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। বিশেষ করে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে কোম্পানিগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এখনো সেই পরিস্থিতি আসেনি। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

গণজমায়েত সীমিত করার নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

প্রকাশের সময় : ০৬:৫২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০
মো: নুরুজ্জামান লিটন :=

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে খেলাধুলা, ধর্মীয় ও সামাজিক গণজমায়েত সীমিত করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে গণজমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সোমবার বিকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব নির্দেশনার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করে তুলতে মন্ত্রণালয় থেকে সচেতনতামূলক ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট সারাদেশে পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই করোনাভাইরাস কিন্তু এতটা মারাত্মক নয়। এটা ইভোলা ও সার্সের মতো নয়। এর মৃত্যুহার খুবই কম। সে দিকে আশা করি আমরা অনেক সেইভে আছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যতটুকু সম্ভব আমরা এই ভাইরাস প্রতিরোধ করবো। এর বড় উপায় হলো বিদেশ থেকে যারা আসছেন তারাই যেহেতু এটা বহন করছেন, এজন্য তাদের বলব, নিজ নিজ জায়গায় থাকতে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দূতাবাসে বার্তা পাঠানো হয়েছে। যারা দেশে আসবেন তাদের সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। জেলা পর্যায়েও জানিয়েছি প্রয়োজনে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা বুঝতেই পারছিলাম এটা আসবে, সুতরাং সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটা প্রতিরোধ করতে পারবো।’

এ সময় তিনি সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহার করার এবং করমর্দন না করার আহ্বান জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয় জানিয়ে মন্ত্রী এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। গুজব না ছড়িয়ে সচেতনতা বাড়াতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী। এছাড়া এই সুযোগে মাস্কসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যারা বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী জানান, করোনা সংক্রমণ হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংক একশ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে যতটুকু পারি করবো। আর কেউ সহযোগিতায় এগিয়ে এলে তা নেব। এছাড়া দেশীয় বড় বড় কোম্পানিকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। বিশেষ করে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে কোম্পানিগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এখনো সেই পরিস্থিতি আসেনি। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।