
রোকনুজ্জামান রিপন :=
সংবিধানের আইনি পরিবর্তনে অনুমোদন দিয়ে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার পথ পাকা করলেন ভ্লাদিমির পুতিন।রাশিয়ার আগের সংবিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের পর পুতিন আরেকবার (টানা তিনবার) প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না।রুশ জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ ‘স্টেট ডুমা’য় ভাষণে পুতিন জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ‘পরিণত অবস্থায়’ আসলে নির্ধারিত সময়ের আগেও সরে যেতে পারেন।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের উদাহরণ দিয়ে পুতিন বলেন, দেশের প্রয়োজনে তাকে চারবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল।রাশিয়াতেও সেই দুর্যোগময় পরিস্থিতি বিরাজমান বলে মনে করেন তিনি।গত জানুয়ারিতে হঠাৎ রাশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ গোটা সরকারকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন পুতিন। তখনই বোঝা যায় অন্য পরিকল্পনা আছে প্রভাবশালী এই রাজনীতিবিদের।
পুতিন আসলে কী চাচ্ছেন বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পুতিন মূলত সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের কিছু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং সংসদে নিতে চাচ্ছেন। এর ফলে পরে যিনি প্রেসিডেন্ট হবেন, তার ক্ষমতা বেশ কমে যাবে।বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আরেকবার প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না বলে সামনের নির্বাচনে পুতিন প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে ভাবছেন।
পুতিনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বন্ধু মেদভেদেভ যিনি গত ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিনের সংস্কার প্রস্তাবের পথ পরিষ্কার করতে তার সরকার পদত্যাগ করে।মেদভেদেভ ২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ওই সময় পুতিনের সঙ্গে ক্ষমতা অদল-বদল করেন।৬৭ বছর বয়সী পুতিন ২০০০ সাল থেকে রাশিয়ার ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন। স্তালিনের পর তিনিই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নেতা।ক্ষমতায় থাকতে পুতিন দুটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত ২০০৮ সালের মতো আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। অথবা কাজাখস্তানের রাজনৈতিক মডেল অনুসরণ করতে পারেন। এই দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলান নাজারবায়েভ পদত্যাগের পর সিকিউরিটি কাউন্সিল এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হিসেবে থেকে যান।