বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের মিয়ারচর-শক্তিয়ারখলা ৩কিলোমিটার সড়ক না যেন মরণ ফাঁধ,দেখার কেউ নেই

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলাথেকে মিয়ারচর পর্যন্ত ৩কিলোমিটার সড়ক না যেন দিন দিন মরণ ফাঁধে পরিনতহয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের গাফিলতির কারেন ও বিকল্প সড়ক না থাকায়
দীর্ঘদিন ৫বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে বেহাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন ৫টি ইউনিয়নের শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ীসহ সর্বস্থরের মানুষ চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ফলে ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। যেন দেখার কেউ
নেই। জানাযায়,জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের মিয়ারচর,বাগগাওসহ ৫টি গ্রামের ও তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট উত্তর,বড়দলউত্তর,উত্তরশ্রীপুর,দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ
লক্ষাধিক মানুষছাড়াও তাহিরপুর উপজেলার তিনটি শুল্কবন্দরের ব্যবসায়ীগন এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। ঐসব ইউনিয়ন গুলোর মানুষজন জেলা শহরের সাথেযাতায়াতের একমাত্র সড়ক মিয়ারচড়-শক্তিয়ারখলা সড়ক। এই সড়কটির ৩কিলোমিটার
অংশ সম্পূর্ন ভাঙ্গন,গর্ত ও খানাখন্দে ভরপুর থাকার কারনেমটরসাইকেল,সিএনজি,টমটম,লাইট্রেস,পিকআপসহ ভারী যানবাহন চলাচল করছে জীবনেরঝুঁকি নিয়ে। ঐসব যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে ধুলার আস্তরন পড়ছে ও মারাত্নক
ভাবে ধুলাবালিতে আক্রান্ত হচ্ছে সড়কের পাশে বাড়ি-ঘরের পাশাপশি চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী ও পায়ে হেটে চলাচলকারী লোকজন। ফলে স্বাস কষ্ট সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলজিইডি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কার্য্যালয় সুত্রে জানাযায়,এই সড়কটি ১কোটি
৩১লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাস্তার সংস্কার কাজ অনুমোদন হয়েছিল। টেন্ডার দেওয়াকিন্তু টেন্ডার পাওয়া ঐ কন্ট্রাকটার বর্তমান কাজের খরচের সাথে বরাদ্ধের পরিমান কম হওয়ায় অপরাগত প্রকাশ করায় আর কাজ শুরু হয় নি।  এর থেকে এভাবেইআছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন,এই সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে স্কুল কলেজেরশিক্ষার্থীসহ দুই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করছে। মেরামত না করায় চরম দূভোর্গেও শিকার হচ্ছে সবাই। গুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি দ্রুত মেরামত করার দাবী জানান বাঘগাও গ্রামের বাসিন্দা ও তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের লাইব্রেরীয়ান সোহেল আহমদ সাজু। তিনি জানান,শক্তিয়ারখলা বাজারের সামনে ব্রীজ থেকে ভাঙ্গা অংশ শুরু শেষ হয়েছে মিয়ারচর ঘাটে এসে। ফলে এসড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চরম দূর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে সবাই। দ্রুত সংস্কার না
হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা গঠবে। এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালক আরিফ ও মটর সাইকেল চালন সাজিদ মিয়া
জানান,সুনামগঞ্জ থেকে যাত্রী শক্তিয়ারখলা বাজার আসা যায় ভাল ভাবে। কিন্তু শক্তিয়ারখলা থেকে মিয়াচর নদী পর্যন্ত সম্পূর্ন রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারনে যাত্রী পরিবহন করতে হয় জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে। ব্যবসায়ী আলী হোসেনসহ অনেকেই বলেন,পণ্য পরিবহনের গাড়ি চলাচল করতে না পারায় শতশত ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে পণ্য পরিবহনের গাড়ি আসতে পারছে না মিয়ারচর নৌকা ঘাঠে। ফলে মালামাল
আনতে গেলে খরচের পরিমান বেশী হয়। সময়ও বেশী লাগে। এলজিইডি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কার্য্যালয় এর প্রকৌশলী বদলী হয়ে যাওয়ার পর নতুন যোগদান না করায় বক্তব্য নেওয়া যায় নি।বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়া জানান,রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিছবাহসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বলেছি। এরপর রাস্তাটি ১কোটি ৩১লক্ষ টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজ অনুমোদন হয়। টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। কাজও পায় একজন কন্ট্রাক্টার কিন্তু যে টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা বর্তমান কাজের খরচের সাথে মিল না থাকায় এখন আবার বরাদ্ধ বাড়িয়ে টেন্ডার দিবে দিবে করে দিচ্ছে না। তিনি আরো জানান,এদিকে এই সড়কদিয়ে চলাচল করতে গিয়ে জনগনের অবস্থা খুবেইখারাপ। আমি আগামী প্রতিটি সভায় এই বিষয়টি সবাইকে অবগত করব। যাতে করে জনদূর্ভোগ লাগবে দ্রুতই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জের মিয়ারচর-শক্তিয়ারখলা ৩কিলোমিটার সড়ক না যেন মরণ ফাঁধ,দেখার কেউ নেই

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলাথেকে মিয়ারচর পর্যন্ত ৩কিলোমিটার সড়ক না যেন দিন দিন মরণ ফাঁধে পরিনতহয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের গাফিলতির কারেন ও বিকল্প সড়ক না থাকায়
দীর্ঘদিন ৫বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে বেহাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন ৫টি ইউনিয়নের শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ীসহ সর্বস্থরের মানুষ চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ফলে ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। যেন দেখার কেউ
নেই। জানাযায়,জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের মিয়ারচর,বাগগাওসহ ৫টি গ্রামের ও তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট উত্তর,বড়দলউত্তর,উত্তরশ্রীপুর,দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ
লক্ষাধিক মানুষছাড়াও তাহিরপুর উপজেলার তিনটি শুল্কবন্দরের ব্যবসায়ীগন এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। ঐসব ইউনিয়ন গুলোর মানুষজন জেলা শহরের সাথেযাতায়াতের একমাত্র সড়ক মিয়ারচড়-শক্তিয়ারখলা সড়ক। এই সড়কটির ৩কিলোমিটার
অংশ সম্পূর্ন ভাঙ্গন,গর্ত ও খানাখন্দে ভরপুর থাকার কারনেমটরসাইকেল,সিএনজি,টমটম,লাইট্রেস,পিকআপসহ ভারী যানবাহন চলাচল করছে জীবনেরঝুঁকি নিয়ে। ঐসব যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে ধুলার আস্তরন পড়ছে ও মারাত্নক
ভাবে ধুলাবালিতে আক্রান্ত হচ্ছে সড়কের পাশে বাড়ি-ঘরের পাশাপশি চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী ও পায়ে হেটে চলাচলকারী লোকজন। ফলে স্বাস কষ্ট সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলজিইডি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কার্য্যালয় সুত্রে জানাযায়,এই সড়কটি ১কোটি
৩১লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাস্তার সংস্কার কাজ অনুমোদন হয়েছিল। টেন্ডার দেওয়াকিন্তু টেন্ডার পাওয়া ঐ কন্ট্রাকটার বর্তমান কাজের খরচের সাথে বরাদ্ধের পরিমান কম হওয়ায় অপরাগত প্রকাশ করায় আর কাজ শুরু হয় নি।  এর থেকে এভাবেইআছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন,এই সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে স্কুল কলেজেরশিক্ষার্থীসহ দুই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করছে। মেরামত না করায় চরম দূভোর্গেও শিকার হচ্ছে সবাই। গুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি দ্রুত মেরামত করার দাবী জানান বাঘগাও গ্রামের বাসিন্দা ও তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের লাইব্রেরীয়ান সোহেল আহমদ সাজু। তিনি জানান,শক্তিয়ারখলা বাজারের সামনে ব্রীজ থেকে ভাঙ্গা অংশ শুরু শেষ হয়েছে মিয়ারচর ঘাটে এসে। ফলে এসড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চরম দূর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে সবাই। দ্রুত সংস্কার না
হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা গঠবে। এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালক আরিফ ও মটর সাইকেল চালন সাজিদ মিয়া
জানান,সুনামগঞ্জ থেকে যাত্রী শক্তিয়ারখলা বাজার আসা যায় ভাল ভাবে। কিন্তু শক্তিয়ারখলা থেকে মিয়াচর নদী পর্যন্ত সম্পূর্ন রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারনে যাত্রী পরিবহন করতে হয় জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে। ব্যবসায়ী আলী হোসেনসহ অনেকেই বলেন,পণ্য পরিবহনের গাড়ি চলাচল করতে না পারায় শতশত ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে পণ্য পরিবহনের গাড়ি আসতে পারছে না মিয়ারচর নৌকা ঘাঠে। ফলে মালামাল
আনতে গেলে খরচের পরিমান বেশী হয়। সময়ও বেশী লাগে। এলজিইডি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কার্য্যালয় এর প্রকৌশলী বদলী হয়ে যাওয়ার পর নতুন যোগদান না করায় বক্তব্য নেওয়া যায় নি।বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়া জানান,রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিছবাহসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বলেছি। এরপর রাস্তাটি ১কোটি ৩১লক্ষ টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজ অনুমোদন হয়। টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। কাজও পায় একজন কন্ট্রাক্টার কিন্তু যে টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা বর্তমান কাজের খরচের সাথে মিল না থাকায় এখন আবার বরাদ্ধ বাড়িয়ে টেন্ডার দিবে দিবে করে দিচ্ছে না। তিনি আরো জানান,এদিকে এই সড়কদিয়ে চলাচল করতে গিয়ে জনগনের অবস্থা খুবেইখারাপ। আমি আগামী প্রতিটি সভায় এই বিষয়টি সবাইকে অবগত করব। যাতে করে জনদূর্ভোগ লাগবে দ্রুতই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।