শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাস: ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে

Local police officers patrol a road in order to control people's movement in Ronda during the first day after the government's declaration of a state of alert in the country in light of the coronavirus, COVID-19, spread, on March 15, 2020. - Cafes, shops and restaurants shut down across France and Spain today and travellers faced chaos at US airports as governments stepped up their fight against the coronavirus pandemic which has now reportedly killed more than 6,000. These countries are among the worst-hit countries in Europe although Italy, which imposed Europe's most draconian lockdown on its 60 million citizens last week, still dominates in terms of infections from COVID-19. (Photo by JORGE GUERRERO / AFP)

সম্রাট আকবর :=

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ২৯৭ জনে পৌঁছাল। তবে এসব মৃতের অধিকাংশই ইতালির। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮০৯ জন মারা গেছেন। ইউরোপে এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টাই ৫১৭ জনের নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৪০০ জন। বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য দিয়েছে।তবে সরকারি ঘোষণার চেয়ে সত্যিকারের আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

করোনাভাইরাসে ইতালিতে একদিনে ৩৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারীটিতে একদিনে কোনো দেশে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু।ভূমধ্যসাগরীয় দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৪ হাজার ৭৪৭ জন। ইতালির বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে এই তথ্য দেয়া হয়েছে।১৯৯২ সালে বার্সেলোনার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক স্টেডিয়ামের নকশায় সহায়তাকারী ইতালির স্থপতি ভিট্টোরিও গ্রেগট্টিও মারা গেছেন এই ভাইরাসে। রোববার ৯২ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে ইতালির গণমাধ্যমের খবর বলছে।মিলানে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে ইতালির গেনোয়াতে মেরাসসি স্টেডিয়ামের নকশাও ছিল তার করা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠেছে ইউরোপের দেশ ইতালি। চলাফেরায় বিধিনিষেধ, ভ্রমণ সতর্কতা, বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার মধ্যে দেশে দেশে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। অনেক জাগায় আতঙ্কে নিত্যপণ্য কেনার ধুম লেগে গেছে।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এই মহামারীকে কয়েক প্রজন্মের মধ্যে জনস্বস্থ্যের জন্য সবচেয়ে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।এ ভাইরাস ইতোমধ্যে ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের ১৪১টি দেশ ও অঞ্চলে; আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে।আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে সেরেও উঠেছেন বলে তথ্য দিয়েছেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

গতবছরের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু হয়। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটনা চীনেই ঘটেছে।তবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটি নানা ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি সামলে ওঠার পর এখন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে।নভেল করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

করোনাভাইরাস: ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে

প্রকাশের সময় : ১১:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০

সম্রাট আকবর :=

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ২৯৭ জনে পৌঁছাল। তবে এসব মৃতের অধিকাংশই ইতালির। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮০৯ জন মারা গেছেন। ইউরোপে এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টাই ৫১৭ জনের নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৪০০ জন। বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য দিয়েছে।তবে সরকারি ঘোষণার চেয়ে সত্যিকারের আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

করোনাভাইরাসে ইতালিতে একদিনে ৩৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারীটিতে একদিনে কোনো দেশে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু।ভূমধ্যসাগরীয় দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৪ হাজার ৭৪৭ জন। ইতালির বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে এই তথ্য দেয়া হয়েছে।১৯৯২ সালে বার্সেলোনার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক স্টেডিয়ামের নকশায় সহায়তাকারী ইতালির স্থপতি ভিট্টোরিও গ্রেগট্টিও মারা গেছেন এই ভাইরাসে। রোববার ৯২ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে ইতালির গণমাধ্যমের খবর বলছে।মিলানে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে ইতালির গেনোয়াতে মেরাসসি স্টেডিয়ামের নকশাও ছিল তার করা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠেছে ইউরোপের দেশ ইতালি। চলাফেরায় বিধিনিষেধ, ভ্রমণ সতর্কতা, বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার মধ্যে দেশে দেশে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। অনেক জাগায় আতঙ্কে নিত্যপণ্য কেনার ধুম লেগে গেছে।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এই মহামারীকে কয়েক প্রজন্মের মধ্যে জনস্বস্থ্যের জন্য সবচেয়ে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।এ ভাইরাস ইতোমধ্যে ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের ১৪১টি দেশ ও অঞ্চলে; আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে।আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে সেরেও উঠেছেন বলে তথ্য দিয়েছেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

গতবছরের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু হয়। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটনা চীনেই ঘটেছে।তবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটি নানা ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি সামলে ওঠার পর এখন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে।নভেল করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।