শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ৯ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

রোকনুজ্জামান রিপন :=

যশোর জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর আলাদা অভিযান চালিয়ে দোকানে মুল্য তালিকা না থাকায় ও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে ৯ ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করেছে।

শনিবার পরিচালিত এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার, কেএম আবু নওশদ, মো.তাহমিদুল ইসলাম, কেএম মামুনুর রশীদ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব।

পেশকার শেখ জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে জেলা প্রশাসন পরিচালিত দুইটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বড় বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় হাটখোলা রোডের সাধন কুন্ডুর দোকানে মুল্য তালিকা না থাকায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে চুডিপট্টির নুর ইসলাম ও বড়বাজারের আশিষ সাহাকে ৫শ’ টাকা করে জরিমানা ও শংকর সাহাকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় নিত্য পণ্যের দাম বাড়ালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বাজারে মাইকিং করা হয়। অভিযানকালে বাজার মনিটারিং কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান, পরিদর্শক কুতুব উদ্দিন, সহকারি পরিদর্শক মীর আব্দুস সালাম ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে ৫ দোকানিকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিফতর যশোর। শহরের চৌরাস্তা, বড়বাজার, এইচএমএম রোডের চাল, পেঁয়াজ, আলু, রসুন ও সয়াবিন তেলের পাইকারি আড়ৎ ও খুচরা দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। শনিবার পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারি পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব।

যশোর বাজারে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র করোনা আতঙ্কে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদারকিমূলক বাজার অভিযানকালে মুল্লুক চাঁদের চালের আড়ৎ ও হাটখোলা রোডের বিভিন্ন চালের পাইকারি দোকানের ক্রয় রশিদের সাথে বিক্রয়ের সামঞ্জস্য আছে কিনা তা যাচাই করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা আছে কিনা তা দেখা হয়। ব্যবসায়ীদেরকে যৌক্তিক বা সীমিত লাভে চাল বিক্রয় করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

একই সময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ও অতিরিক্ত লাভে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে সুমা এন্টারপ্রাইজকে ৮ হাজার টাকা, সুমন সাহা স্টোরকে ২ হাজার টাকা, মেসার্স আব্দুল গণি স্টোরকে ৩ হাজার টাকা , হালিম স্টোরকে ৫ হাজার টাকা ও জামাল স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান চলাকালে দোকান মালিকদের মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে সর্বদা প্রদর্শন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

উপস্থিত জনগণের মধ্যে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর লিফলেট ও প্যাম্পেলেট বিতরণ করা হয় ও সকলকে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়। অভিযানকালে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর প্রতিনিধি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ইসরায়েল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণ’ও চালায়,তার জবাব হবে কঠোর-ইরানের প্রেসিডেন্ট

বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ৯ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০
রোকনুজ্জামান রিপন :=

যশোর জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর আলাদা অভিযান চালিয়ে দোকানে মুল্য তালিকা না থাকায় ও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে ৯ ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করেছে।

শনিবার পরিচালিত এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার, কেএম আবু নওশদ, মো.তাহমিদুল ইসলাম, কেএম মামুনুর রশীদ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব।

পেশকার শেখ জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে জেলা প্রশাসন পরিচালিত দুইটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বড় বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় হাটখোলা রোডের সাধন কুন্ডুর দোকানে মুল্য তালিকা না থাকায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে চুডিপট্টির নুর ইসলাম ও বড়বাজারের আশিষ সাহাকে ৫শ’ টাকা করে জরিমানা ও শংকর সাহাকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় নিত্য পণ্যের দাম বাড়ালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বাজারে মাইকিং করা হয়। অভিযানকালে বাজার মনিটারিং কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান, পরিদর্শক কুতুব উদ্দিন, সহকারি পরিদর্শক মীর আব্দুস সালাম ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে ৫ দোকানিকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিফতর যশোর। শহরের চৌরাস্তা, বড়বাজার, এইচএমএম রোডের চাল, পেঁয়াজ, আলু, রসুন ও সয়াবিন তেলের পাইকারি আড়ৎ ও খুচরা দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। শনিবার পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারি পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব।

যশোর বাজারে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চক্র করোনা আতঙ্কে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদারকিমূলক বাজার অভিযানকালে মুল্লুক চাঁদের চালের আড়ৎ ও হাটখোলা রোডের বিভিন্ন চালের পাইকারি দোকানের ক্রয় রশিদের সাথে বিক্রয়ের সামঞ্জস্য আছে কিনা তা যাচাই করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা আছে কিনা তা দেখা হয়। ব্যবসায়ীদেরকে যৌক্তিক বা সীমিত লাভে চাল বিক্রয় করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

একই সময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ও অতিরিক্ত লাভে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে সুমা এন্টারপ্রাইজকে ৮ হাজার টাকা, সুমন সাহা স্টোরকে ২ হাজার টাকা, মেসার্স আব্দুল গণি স্টোরকে ৩ হাজার টাকা , হালিম স্টোরকে ৫ হাজার টাকা ও জামাল স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান চলাকালে দোকান মালিকদের মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে সর্বদা প্রদর্শন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

উপস্থিত জনগণের মধ্যে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর লিফলেট ও প্যাম্পেলেট বিতরণ করা হয় ও সকলকে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়। অভিযানকালে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর প্রতিনিধি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।