
রোকনুজ্জামান রিপন :=
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘জনতা কারফিউ’ জারি করায় রবিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে দু’দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ৫ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায়।
তবে দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নিজেদের দেশে ফিরতে পারছেন। সেই সঙ্গে বেনাপোল বন্দরে স্বাভাবিক রয়েছে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া। বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, ভারতের অভ্যন্তরে কারফিউ জারি করায় সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল রয়েছে। সোমবার থেকে যথানিয়মে আমদানি-রপ্তানিও শুরু হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান সজন জানান, সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি হয়নি। তবে বন্দর থেকে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবীব জানান, ভারতের সঙ্গে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করছে। তবে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গত ১৩ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি ভারতে যায়নি। বাংলাদেশ সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ভারতীয়রা এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে আসছেন। তবে তাদের সঙ্গে মেডিকেলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা বাধ্যতামূলক।
উল্লেখ্য, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশে যাতায়াত করে থাকেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন এ পথে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাক পণ্য আমদানি হয় এবং ভারতে রপ্তানি হয় ২ শতাধিক ট্রাক পণ্য। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকারকে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়।