
করোনাভাইরাসের প্রকোপে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO ‘মহামারির চেয়েও ভয়ঙ্কর’ বলেই ব্যাখ্যা করেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বের এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৯৮। ভারতেও প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে এ দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৫-এ।
তবে এই ঘটনাই প্রথম নয়, মানবজাতী এর আগেও এমন ভয়ঙ্কর পরিস্তিতির সম্মুখীন হয়েছে। এর আগেও বহুবার এমন ভয়ঙ্কর মহামারীর সম্মুখীন হয়েছে পৃথিবী। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল প্রত্যেক শতাব্দীর ২০ সালেই ফিরে আসে ভয়ঙ্কর সব মহামারী আর কেড়ে নেয় হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। ২০২০-এর আগে ১৯২০ সালে ‘স্প্যানিস ফ্লু’-এর হানায় মৃত্যু হয় সারা বিশ্বের প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের। এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ।
এই ঘটনার ১০০ বছর আগে, ১৮২০ সালে মহামারির আকার নেয় কলেরা। এই কলেরায় মূলত আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ছিল। জানা যায়, ভারতে বসবাসকারী ইউরোপিয়ানদের উপর সে সময় কলেরা সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। মূলত বন্যার পরই জলবাহিত পেটের অসুখে সে সময় প্রাণ হারান হাজার হাজার মানুষ।
১৮২০ সালের ঠিক ১০০ বছর আগে ১৭২০ সালে ফ্রান্সের মার্সেইতে প্রার্দুভাব ঘটেছিল প্লেগের। এই শহরে সে সময় মাত্র দু বছরের ব্যবধানে মৃত্যু হয় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের। সারা বিশ্বের সে সময় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছিল এই মহামারি।
চিকিত্সা ব্যবস্থা বর্তমানে অনেক উন্নত। উন্নত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের সহায়তায় হয়তো করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে রুখে দেওয়া যাবে। তবে ১০০ বছর পর পর কোনও না কোনও মহামারীর ফিরে আসার পেছনে কোনও কারণ আছে কি? পুরোটাই কি কাকতালীয়, ঘটনাচক্র!
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho