শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে জনগণের সব দায়িত্ব নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

নুরুজ্জামান লিটন :=

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, চলমান কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) প্রাদুর্ভাবের কারণে তার সরকার কানাডিয়ানদের অর্থনৈতিক দৈন্য-দশায় পড়তে দেবে না। নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, বাড়ি ভাড়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। সব সরকার দেখবে।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিনিউজ১১৩০ এ তথ্য জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কানাডায় ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে ও তার স্ত্রী সোফিয়া ১৪ দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শরীরের এখনো করনোভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। এছাড়া স্ত্রী সোভি করোনায় আক্রান্ত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল।

ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় খুব শিগগিরই তার সরকার ‘সিগনিফিক্যান্ট ফিসক্যাল স্টিমুলাস’ নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে যাচ্ছে। এই প্যাকেজটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত।শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর কারণে বাড়ি ভাড়া, মুদি কেনাকাটা বা শিশুদের অতিরিক্ত সেবায় অর্থ খরচ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা কানাডিয়ানদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করব।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, সঞ্চয়, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত আছেন। আমি জানি, (করোনার কারণে) বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে আপনার অনিশ্চয়তায় আছেন। আপনাদের নিরাপদ রাখতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাতে দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এটা সত্য যে, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন যে অবস্থানে আছি তা আপনাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট।’

‘আমরা মানি যে আমাদের আরও অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা চাই না কোনো কানাডিয়ান বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন কি-না, বাজার-ঘাট করতে পারবেন কি-না, বা তাদের ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করতে পারবেন কি-না, এটা নিয়ে চিন্তা করুক’-যোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার তার স্ত্রী সোফিয়া ট্রুডো কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার অটোয়ায় নিজ বাসা থেকে সরকার চালাচ্ছেন ট্রুডো।
ট্রুডোর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ১৪ দিনের আইসোলেশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ (করোনায় আক্রান্ত হলে) হয়ে পড়লেও বাসায় থেকেই কাজ করে যাবেন।

নিজ দেশের জনগণের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ভ্রমণের বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাঁচশোর অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারী কোনো ক্রুজ জাহাজ কানাডার বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না।১ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। এছাড়া কোনো বিদেশি আন্তর্জাতিক বিমান কানাডার সুনির্দিষ্ট বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে কোন কোনো বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না, তা জানায়নি কানাডা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে জনগণের সব দায়িত্ব নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০
নুরুজ্জামান লিটন :=

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, চলমান কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) প্রাদুর্ভাবের কারণে তার সরকার কানাডিয়ানদের অর্থনৈতিক দৈন্য-দশায় পড়তে দেবে না। নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, বাড়ি ভাড়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। সব সরকার দেখবে।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিনিউজ১১৩০ এ তথ্য জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কানাডায় ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে ও তার স্ত্রী সোফিয়া ১৪ দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শরীরের এখনো করনোভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। এছাড়া স্ত্রী সোভি করোনায় আক্রান্ত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল।

ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় খুব শিগগিরই তার সরকার ‘সিগনিফিক্যান্ট ফিসক্যাল স্টিমুলাস’ নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু করতে যাচ্ছে। এই প্যাকেজটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত।শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর কারণে বাড়ি ভাড়া, মুদি কেনাকাটা বা শিশুদের অতিরিক্ত সেবায় অর্থ খরচ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা কানাডিয়ানদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করব।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, সঞ্চয়, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত আছেন। আমি জানি, (করোনার কারণে) বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে আপনার অনিশ্চয়তায় আছেন। আপনাদের নিরাপদ রাখতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাতে দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এটা সত্য যে, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন যে অবস্থানে আছি তা আপনাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট।’

‘আমরা মানি যে আমাদের আরও অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা চাই না কোনো কানাডিয়ান বাড়ি ভাড়া দিতে পারবেন কি-না, বাজার-ঘাট করতে পারবেন কি-না, বা তাদের ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করতে পারবেন কি-না, এটা নিয়ে চিন্তা করুক’-যোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার তার স্ত্রী সোফিয়া ট্রুডো কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার অটোয়ায় নিজ বাসা থেকে সরকার চালাচ্ছেন ট্রুডো।
ট্রুডোর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ১৪ দিনের আইসোলেশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো নিজে জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ (করোনায় আক্রান্ত হলে) হয়ে পড়লেও বাসায় থেকেই কাজ করে যাবেন।

নিজ দেশের জনগণের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ভ্রমণের বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাঁচশোর অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারী কোনো ক্রুজ জাহাজ কানাডার বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না।১ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। এছাড়া কোনো বিদেশি আন্তর্জাতিক বিমান কানাডার সুনির্দিষ্ট বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে কোন কোনো বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না, তা জানায়নি কানাডা।