
রোকনুজ্জামান রিপন :=
করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিপর্যস্ত ইতালির অনেক অঞ্চল। এরই মধ্যে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে ইতালিতে। তবে করোনা থেকে মৃত্যু এড়াতে কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তাই দেখিয়েছে ইতালির ভেনেতো অঞ্চলের ভো শহর। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি চলতি মাসের ১৩ তারিখের পর থেকে এ শহরটিতে নতুন করে করোনায় কেউ আক্রান্ত হননি।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের ৬ তারিখ ইতালির পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং রেড ক্রসের উদ্যোগে ইতালির পাদুয়া অঙ্গরাজ্যের ভো শহরে সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। এমনকি যিনি বা যাদের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদেরও মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। এর ফলে যাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দেয় তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
এভাবে ৩ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা ৮৯ জনের করোনা পজেটিভ এসেছিল। তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এর দুই সপ্তাহ পর আরও কয়েকজনের করোনা টেস্ট করা হয়। খুব আশ্চর্যজনকভাবে আক্রান্তের পরিমাণ শতকরা ৩ ভাগ থেকে শূন্য দশমিক ৪১ এ নেমে আসে।
গবেষণা বলছে, বেশিরভাগ আক্রান্ত রোগীর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। এ থেকেই গবেষকরা বলছেন করোনা থাকুক আর না থাকুক সবাইকে টেস্ট করতে হবে। শেষ পর্যন্ত শতভাগ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়। করোনা সংক্রমণের হার শূন্যে নেমে আসে।
এ বিষয়ে ওই শহরের কৃর্তপক্ষ বলছে, করোনা প্রতিরোধে দুইটি কৌশল অবলম্বন করা উচিত। একটি হলো- টেস্ট করা এবং অন্যটি আইসোলেশনে রাখা।
ভেনেতোর প্রেসিডেন্ট লুকা জাইয়া বলছেন, ‘সবাইকে করোনা পরীক্ষা করা অনেক জরুরি, কারণ একজন করোনা আক্রান্ত রোগী ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে।’
ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৬ হজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।