কোলকাতা ব্যুরো :=
৩৩ ঘণ্টা আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যাত্রী-বিমানের ওঠানামা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী ও অফিসার ছাড়া বিমানবন্দরে কারো উপস্থিতি নেই। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় নিস্তব্ধ চারপাশের মাঝে মিলল আধভেজা, ময়লা ডেনিম পরা পঁচিশ বয়সের তরুণীকে। গরমের মাঝে শরীরে সাদা ফুলহাতা সোয়েটার, পায়ে মোজা, স্নিকার্স।
পুলিশকে ঘটনাটি বারবার জানানোর পর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিমানবন্দর চত্বরে ঘুরে বেড়ানো তরুণীর সঙ্গে আলাপের চেষ্টা করা হয়। তবে ভয়ানকভাবে রেগে যান তরুণী। হুংকার সহকারে বলেন আমাকে একা থাকতে দিন। অফিসাররা ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তরুণীর জবাব দেন ‘পরে বলব। বিরক্ত করবেন না’।
অফিসাররা জানান, অনেকবার জিজ্ঞেস করার পর তরুণী নিজেকে অলকা কুমারী হিসেবে পরিচয় দেন। দিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডায় তার বাড়ি বলে জানান। গত তিনদিন ধরে বিমানবন্দরে রয়েছেন তিনি। তরুণী সংবাদমাধ্যম, পুলিশ, নিরাপত্তা সংস্থা-সবাইকে ঘৃণা করেন বলে দাবি করেছেন। তাকে বিরক্ত না করতে আহবান জানান তিনি।
গত রোববার কলকাতা শহরে এক বন্ধুর কাছে আসেন অলকা। বন্ধু পরিচয় গোপন রেখে জানান, দিল্লিতে ফেরার চেষ্টা করেছেন। তবে কোনো বিমানে জায়গা পাননি।
পুলিশের ধারণা, গত দুদিন ধরে অভুক্ত থাকতে পারেন। সঙ্গে থাকা পানির বোতলও খালি দেখা গেছে।
অলকার দাবি, কারো সহায়তার প্রয়োজন নেই তার। তার কাছে নগদ টাকা নেই। মোবাইলটি ভেঙ্গে গেছে। তবে চার্জ দেয়া সম্ভব। কেউ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করলে তার অ্যাকাউন্টে নেট ব্যাংকিং করে টাকা ফেরত দেবেন তিনি।
তার মতে, টাকা দিয়ে হোস্টেল খুঁজব। মোবাইল মেরামত করব। তারপর দিল্লি ফিরব। তাকে সার্বিক পরিস্থিতি জানালে পুলিশের সহায়তা নেয়ার কথা জানান এ তরুণী ।
এদিকে অলকার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শঙ্কা প্রকাশ করছেন অফিসাররা। তবে অলকা গেটের বাইরে রয়েছে। তাকে দেখার দায়িত্ব পুলিশের।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিমানবন্দরের চিকিৎসক দ্বারা অলকার পরীক্ষা করানো হয়েছে। পরে তাকে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়।