বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাস রোধে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নিষেধাজ্ঞা মানছে না কেউ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে করোনা ভাইরাস রোধে গণসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে জেলা ,উপজেলায় পুলিশ,প্রশাসন,সেনাবাহিনীর টহল ও প্রচারাভিযান জোরদার করলেও  স্থানীয় উঠতি বয়সী তরুন,যুবক ও মধ্যবয়সী লোকজন সরকারী নিষেধাঞা মানছে না। এরই সাথে টমটম,মটর সাইকেল চলছে প্রকাশ্যে ।
প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাজারগুলো জনমানব শুণ্য হলেও তারা  চলে গেলেই জনসমাগম সহ সব কিছুই চলে প্রকাশ্যে । তারা রীতিমত দোকান খোলে রেখেই ব্যাপক জনসামাগম করেই উৎবস পালন করছে দেখলে মনে হয়। কেরাম খেলা,টিভি চালিয়ে ছবি দেখা,গান বাজনা ও চা বিক্রি করে আড্ডা দিচ্ছে।
আর প্রশাসন কঠোর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফলে দিন দিন তা ব্যাপক আকার ধারন করায় উপজেলার সচেতন মহলের মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
আর এমনি চিত্র দেখা গেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট,উত্তর বড়দল,দক্ষিন শ্রীপুর,দক্ষিন বড়দল,উত্তর শ্রীপুর,বালিজুড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও গ্রামের ভিতরে দোকান গুলোতে।
জানাযায়,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজার,দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর,লামাগাও,পণ্ডব,রতনশ্রী,লামাগাঁও,উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার,চারাগাঁও,কলাগাও,জয় বাংলা বাজার,বাগলী,শ্রীপুর বাজার,লাকমা বাজার,বড়ছড়া,দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের পুরানখালাশ,আনন্দ বাজার,কাউকান্দি বাজার,উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন,রাজাই মোড়,পুরানঘাট,চাঁনপুর,শান্তিপুর বাজার,জনতা বাজার,বোড়খাড়া মোড়,আমতল,হলহলিয়া চরগাও গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের বাজার,গ্রামের ভিতরের দোকান ও ঐসব ইউনিয়নে যাওয়ার সড়ক পথে তৈরী দোকান গুলোর অবস্থা খুব খারাপ। সকাল থেকেই ঐসব গ্রাম গুলোতে অর্ধশতাধিক দোকানে কেরাম র্বোড খেলা,টিভি চালিয়ে ছবি দেখা,গান বাজনা,গাফলা খেলা ও চা আড্ডা বসিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। স্থানীয় সচেতন মহল বাধা নিশেধ দিলেও তা না মানায় ঐ সব গ্রাম গুলোতে সেনাবাহিনী,পুলিশ,প্রশাসনের টহল ও প্রচারাভিযান জোরদার করাসহ কঠোর অবস্থানে যাবার আহবান জানান সর্বস্থরের জনসাধারন। না হলে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের আশংকা করছে সচেতন মহল।
নতুন বাজার,জয় বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারের স্থানীয় বাসিন্দাগন জানান,গ্রামের মানুষজন কোন কথাই শুনছে না। উপজেলা সদর ও এর কাছা কাছি বাজার গুলোতে প্রশাসনের লোকজন তৎপরতা দেখা গেলেও প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামীন হাট বাজার ও গ্রামের ভিতরের দোকান গুলোতে কঠোর অবস্থানে না যাওয়ায় যাচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে।
বাদাঘাট বাজারের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান,প্রশাসনের লোকজন আসলেই সব ধরনের দোকান পাট বন্ধ থাকে চলে গেলেই আবার চালু। আর শতশত মটর সাইকেল,টমটম চলছেই যেন উৎসব। করোনা ভাইরাসের কথা তারা শুনছেই না।
শুধু বাদাঘাট বাজার ই নয় উপজেলার প্রতিটি বাজারেই একেই অবস্থা। কেউ কোন নিয়ম মানছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিজেন ব্যনার্জী বলেন,সবাই বলা হয়েছে নিয়মের মধ্যে থাকার জন্য। আমি একা সব দিকে যাওয়া সম্ভব না। তারপরও প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারে সবাইকে সচেতন করছি। এখন সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকেই কাজ করতে হবে। নির্দেশনা না মানলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি করা হয় প্রশাসনের প থেকে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

করোনা ভাইরাস রোধে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নিষেধাজ্ঞা মানছে না কেউ

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে করোনা ভাইরাস রোধে গণসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে জেলা ,উপজেলায় পুলিশ,প্রশাসন,সেনাবাহিনীর টহল ও প্রচারাভিযান জোরদার করলেও  স্থানীয় উঠতি বয়সী তরুন,যুবক ও মধ্যবয়সী লোকজন সরকারী নিষেধাঞা মানছে না। এরই সাথে টমটম,মটর সাইকেল চলছে প্রকাশ্যে ।
প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাজারগুলো জনমানব শুণ্য হলেও তারা  চলে গেলেই জনসমাগম সহ সব কিছুই চলে প্রকাশ্যে । তারা রীতিমত দোকান খোলে রেখেই ব্যাপক জনসামাগম করেই উৎবস পালন করছে দেখলে মনে হয়। কেরাম খেলা,টিভি চালিয়ে ছবি দেখা,গান বাজনা ও চা বিক্রি করে আড্ডা দিচ্ছে।
আর প্রশাসন কঠোর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফলে দিন দিন তা ব্যাপক আকার ধারন করায় উপজেলার সচেতন মহলের মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
আর এমনি চিত্র দেখা গেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট,উত্তর বড়দল,দক্ষিন শ্রীপুর,দক্ষিন বড়দল,উত্তর শ্রীপুর,বালিজুড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও গ্রামের ভিতরে দোকান গুলোতে।
জানাযায়,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজার,দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর,লামাগাও,পণ্ডব,রতনশ্রী,লামাগাঁও,উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার,চারাগাঁও,কলাগাও,জয় বাংলা বাজার,বাগলী,শ্রীপুর বাজার,লাকমা বাজার,বড়ছড়া,দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের পুরানখালাশ,আনন্দ বাজার,কাউকান্দি বাজার,উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন,রাজাই মোড়,পুরানঘাট,চাঁনপুর,শান্তিপুর বাজার,জনতা বাজার,বোড়খাড়া মোড়,আমতল,হলহলিয়া চরগাও গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের বাজার,গ্রামের ভিতরের দোকান ও ঐসব ইউনিয়নে যাওয়ার সড়ক পথে তৈরী দোকান গুলোর অবস্থা খুব খারাপ। সকাল থেকেই ঐসব গ্রাম গুলোতে অর্ধশতাধিক দোকানে কেরাম র্বোড খেলা,টিভি চালিয়ে ছবি দেখা,গান বাজনা,গাফলা খেলা ও চা আড্ডা বসিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। স্থানীয় সচেতন মহল বাধা নিশেধ দিলেও তা না মানায় ঐ সব গ্রাম গুলোতে সেনাবাহিনী,পুলিশ,প্রশাসনের টহল ও প্রচারাভিযান জোরদার করাসহ কঠোর অবস্থানে যাবার আহবান জানান সর্বস্থরের জনসাধারন। না হলে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের আশংকা করছে সচেতন মহল।
নতুন বাজার,জয় বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারের স্থানীয় বাসিন্দাগন জানান,গ্রামের মানুষজন কোন কথাই শুনছে না। উপজেলা সদর ও এর কাছা কাছি বাজার গুলোতে প্রশাসনের লোকজন তৎপরতা দেখা গেলেও প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামীন হাট বাজার ও গ্রামের ভিতরের দোকান গুলোতে কঠোর অবস্থানে না যাওয়ায় যাচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে।
বাদাঘাট বাজারের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান,প্রশাসনের লোকজন আসলেই সব ধরনের দোকান পাট বন্ধ থাকে চলে গেলেই আবার চালু। আর শতশত মটর সাইকেল,টমটম চলছেই যেন উৎসব। করোনা ভাইরাসের কথা তারা শুনছেই না।
শুধু বাদাঘাট বাজার ই নয় উপজেলার প্রতিটি বাজারেই একেই অবস্থা। কেউ কোন নিয়ম মানছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিজেন ব্যনার্জী বলেন,সবাই বলা হয়েছে নিয়মের মধ্যে থাকার জন্য। আমি একা সব দিকে যাওয়া সম্ভব না। তারপরও প্রতিদিন বিভিন্ন বাজারে সবাইকে সচেতন করছি। এখন সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকেই কাজ করতে হবে। নির্দেশনা না মানলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি করা হয় প্রশাসনের প থেকে।