প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ২:৩৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০২০, ৮:৪১ পি.এম
লালমনিরহাটে হাট-বাজারে পণ্য কেনাকাটায় বেপরোয়া মানুষ, বাড়ছে করোনা ঝুঁকি!!

মোস্তাফিজুর রহমান : লালমনিরহাট জেলাপ্রতিনিধিঃ==
দেশের সরকার করোনা-চেইন ভাঙা ও সংক্রামন বিস্তার রোধে সর্বচ্চো গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। স্কুল, কলেজ, অফিস আদালত বন্ধ করে দিয়েছে। গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। করোনা তদারকিতে সব জেলায় সেনাবাহিনী নামিয়েছে। কিন্তু ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে। হাটবাজার গুলোতে মহাসমারহে গণ জমায়েত ঘটছে। হাটবাজারে আসা সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোন নূন্যমত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। এতে করে গ্রামে গ্রামে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। এতে করে বাড়ছে করোনা কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রবল ঝুঁকি। জরুরী ভিত্তিতে হাটবাজারে গণ জমায়েত বন্ধের দাবি উঠেছে। জেলা সদরের অদুরে মোগলহাট ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী দুরারকুটি হাটে দেখা গেছে হাটে আগুন্ত মানুষের ভীড়। কারো করেনা নিয়ে কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। নেই করোনা নিয়ে কোন সচেতনতা। নেই কোন করোনা নিয়ে মাথা ব্যথা। শুধু এই হাটেই নয়। জেলার পাঁচ উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। কোথাও কমেনি এতোটুকো জনসমাগম। এভাবে হাটবাজারে চললে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে জেনেও সচেতন হচ্ছে না মানুষ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসমাগম না করতে মাইকিং করা হয়েছে। সব ধরণের গণ জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাটগুলোতে ইজারাদাররা এই নিয়ম মানার ব্যাপারে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। অন্যদিকে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়াতে এসব হাটে ভারতীয় গরু ও গরুর ব্যবসায়ীরাও এসে থাকেন। এতে করে করোনাভাইরাসের চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলের মানুষরা ।অভিযোগ রয়েছে, নজরদারিতে রাখা তালিকাভুক্ত বিদেশ ফেরতরাও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে। শুধু এরাই নয় হাটা-বাজারে আসা মানুষদের অধিকাংশই আসছেন প্রয়োজন ছাড়া। আর এদের মধ্যে একধরণের বেপরোয়া ভাব লক্ষ করা গেছে। ফলে অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। জনসমাগমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে, জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভাইরাস আক্রমণ করবেই, কিন্তু হাটে না আসলে সংসার চলবে কীভাবে। ’ অনেকে বলছে,নিত্যপ্রযোজনীয় দ্রবের ক্ষুদ্র অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে। যারা হাটবাজার গুলোতে দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা পড়বে বিপাকে।
জানা গেছে, গরু কেনা-বেচার সুখ্যাতি দেশের উত্তর জনপদের সবচেয়ে বড় হাট বাজার, দূরারকুটি, বগবাড়ি, চাপারহাট, হাতীবান্ধাউপজেলার দৈইখাওয়া,বড়খাতাহাট পাটগ্রামহাাট ,সাপ্টিবাড়িরহাট, জাওরানির হাট, জোংরাহাট, প্রায় ৫০টি হাটবাজার রয়েছে। এসব হাট বাজারে প্রতিটিতে চোরাই পথে আসা ভারতীয় গরু কেনা বেচা হয়। একই সঙ্গে মাছ, মাংস, মুরগি, ডাল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সদাইপাতি ক্রয় বিক্রি হয়। দেশের গ্রামের মানুষ হাটবাজার কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্তার উপর নির্ভরশীল। হাটবাজার গ্রামের কৃষক শ্রমিকসহ সব পেশার মানুষের পণ্য ও অর্থ বিনিময়ের স্থান। জেলায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও হাটবাজার বসছে। এসব হাটবাজারে ঘটটে গণজমায়েত। হাটবাজার গুলোতে করনোভাইরাসের ঝুঁকিরোধে কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। নেই কোন প্রচার প্রচারণা। সাধারণ গ্রামের মানুষ কোন ধরনের করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াই হাটবাজার গুলোতে আসছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি কোন নির্দেশনা হাটবাজার গুলোতে মানা হচ্ছে না মোটেও। হাটবাজার গুলো দেখলে মনে হবে দেশে কোন সংকট নেই। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়, গায়ে গা ঘেঁষে মানুষ চলছে। পণ্য কিনতে ও বেচতে জটলা করছে। হাটবাজার গুলোর চায়ের দোকানে চুটিয়ে আড্ডা মারছে মানুষ। ঈদ, পুঁজামত যেকোন উৎসবে যেমন নতুনমুখ দেখা যায়। তেমনি হাটবাজার গুলোতে প্রবাসীরা ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় যার চারুরি বা কাজ করতে তারা বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তারাও হাট বাজার গুলোতে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।মোগলহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তার ইউনিয়নের কুরুল কালীবাড়ি স্কুলে সেনাবাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে। তিনি বলেন, সকল হাট বাজার বন্ধ করে দেয়া উচিত। পণ্য কেনা বেচায় জনসমাগম না ঘটিয়ে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফল জানান, সরকারিভাবে হাট-বাজার বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। তবে সাধারণ মানুষকে করেনাভাইরাস প্রতিরোধে মুখে মাস্ক ও বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হচ্ছে। হাটবাজার গুলোতে জননিরাপত্তার স্বার্থে হাত ধোয়অর ব্যবস্থা নিতে নিজনিজ প্রতিষ্ঠান কে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী মাঠে আছে তারা করোনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করবে। সেনাবাহিনী হাট-বাজারে জনসমাগম নিয়ন্ত্রিত করতে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho