বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা প্রতিরোধে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়

মোস্তাফিজুর রহমান : লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ।।
আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন, সাবান পানি দিয়ে দু’হাত ভাল করে পরিস্কার করুন,নিজে বাঁচুন-পরিবার বাঁচান, দেশ বাঁচান এই স্লোগানে মাইক হাতে নিয়ে হাট বাজার থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা  ভাইরাসের সংক্রমন রোধে মানুষকে বাসায় অবস্থান করার সচেতনামূলক প্রচারণা ও লিফলেট বিতরনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জেলাবাসী। এই উদাহরণের মাধ্যমেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলার পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় হয়তো সব জায়গায় পুলিশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। তবে ইচ্ছা এবং সামর্থের কমতি রাখছে না ৫ টি উপজেলার থানা পুলিশ  ।অপরদিকে জেলা পুলিশের সকল ইউনিট মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন মানুষকে সচেতন করার জন্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার নির্দেশনায় জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামাঞ্চলে প্রচারণা করছেন। মানুষকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ। আর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে গোটা জেলাবাসী। কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা চাষী জহির রায়হান, ও উপজেলার দলগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আতাউর রহমান ছোটন মাষ্টার ভোটমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবির হোসেন,কাশীরাম মুনসীর বাজার বাসিন্দা ছামিউল,চন্দ্রপর ইউনিয়নের বাসিন্দা তপন কুমার রায়,মদাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের,কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল হক শহিদ,গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে গ্রামের মানুষজন সচেতন ছিলনা। অবাধে মানুষজন জটলা বেঁধে হাট বাজারের দোকান গুলতো আড্ডা দিত। করোনা প্রতিরোধে পুলিশেের  ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। কালীগঞ্জ থানাপুলিশ নিয়মিত টহল জোরদার এবং করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সচেতনতামুলক প্রচারণা করায় গ্রামাঞ্চলের মানুষজন সচেতন হয়েছে এবং বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই থাকছেন।  পুলিশের এমন উদ্যোগ আসলে প্রশংসনীয়। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা হাট বাজার থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সচেতনামূলক প্রচারণাসহ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার কাজ করেই যাচ্ছি। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো এলাকায় দ্রুত সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। খারাপ আচরনের মাধ্যমে নয়, ভাল আচরনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে ।পুলিশকে দেখলেই লুকিয়ে যাওয়া কিংবা দোকান বন্ধ করা। আর চলে গেলেই যেই আর সেই এই ধোকা আপনি পুলিশকে নয়, নিজের পরিবারকে, নিজের দেশকে দিচ্ছেন,দয়া করে করোনা রোধে সচেতন হউন,ঘরে থাকুন,নিরাপদ থাকুন। করোনা মোকাবেলায় লালমনিরহাট জেলা পুলিশের সচেতনতা কর্মসূচিসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

করোনা প্রতিরোধে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়

প্রকাশের সময় : ১১:০৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
মোস্তাফিজুর রহমান : লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ।।
আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন, সাবান পানি দিয়ে দু’হাত ভাল করে পরিস্কার করুন,নিজে বাঁচুন-পরিবার বাঁচান, দেশ বাঁচান এই স্লোগানে মাইক হাতে নিয়ে হাট বাজার থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা  ভাইরাসের সংক্রমন রোধে মানুষকে বাসায় অবস্থান করার সচেতনামূলক প্রচারণা ও লিফলেট বিতরনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জেলাবাসী। এই উদাহরণের মাধ্যমেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলার পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় হয়তো সব জায়গায় পুলিশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। তবে ইচ্ছা এবং সামর্থের কমতি রাখছে না ৫ টি উপজেলার থানা পুলিশ  ।অপরদিকে জেলা পুলিশের সকল ইউনিট মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন মানুষকে সচেতন করার জন্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার নির্দেশনায় জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামাঞ্চলে প্রচারণা করছেন। মানুষকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ। আর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে গোটা জেলাবাসী। কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা চাষী জহির রায়হান, ও উপজেলার দলগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আতাউর রহমান ছোটন মাষ্টার ভোটমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবির হোসেন,কাশীরাম মুনসীর বাজার বাসিন্দা ছামিউল,চন্দ্রপর ইউনিয়নের বাসিন্দা তপন কুমার রায়,মদাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের,কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল হক শহিদ,গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে গ্রামের মানুষজন সচেতন ছিলনা। অবাধে মানুষজন জটলা বেঁধে হাট বাজারের দোকান গুলতো আড্ডা দিত। করোনা প্রতিরোধে পুলিশেের  ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। কালীগঞ্জ থানাপুলিশ নিয়মিত টহল জোরদার এবং করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সচেতনতামুলক প্রচারণা করায় গ্রামাঞ্চলের মানুষজন সচেতন হয়েছে এবং বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই থাকছেন।  পুলিশের এমন উদ্যোগ আসলে প্রশংসনীয়। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা হাট বাজার থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সচেতনামূলক প্রচারণাসহ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার কাজ করেই যাচ্ছি। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো এলাকায় দ্রুত সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। খারাপ আচরনের মাধ্যমে নয়, ভাল আচরনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে ।পুলিশকে দেখলেই লুকিয়ে যাওয়া কিংবা দোকান বন্ধ করা। আর চলে গেলেই যেই আর সেই এই ধোকা আপনি পুলিশকে নয়, নিজের পরিবারকে, নিজের দেশকে দিচ্ছেন,দয়া করে করোনা রোধে সচেতন হউন,ঘরে থাকুন,নিরাপদ থাকুন। করোনা মোকাবেলায় লালমনিরহাট জেলা পুলিশের সচেতনতা কর্মসূচিসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ।