প্রকাশের সময় :
০৭:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
২২৪
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জে এবার গর্ভবর্তী নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি জেলার সদর উপজেলার বেরীগাও গ্রামের বাসিন্দা। ওই নারীর স্বামী কয়েকদিন আগে নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ি আসেন। তার মধ্যেই স্ত্রী সংক্রমিত হয়েছেন। ওই সময় তার স্বামীও সঙ্গে ছিলেন। এ বিষয়টি গোপন করায় এখন ডাক্তার নার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের সান্নিধ্যে যাওয়া সবাই আতঙ্কে ভোগছেন।
জানাযায়,গত বুধবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ঐ গর্ববতি নারীকে নিয়ে আসার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সেখান কার ডাক্তার তার শরীরের নমুনা রোববার ওসমানী মেডিকেল কলেজে পরীা করা হয়। পরীায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
সোমবার সকালে ওই নারীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওই নারীর সংষ্পর্শে যাওয়া এক ডাক্তার ও তিনজন নার্সকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া তাদের সংস্পর্শে আসা সুনামগঞ্জের অন্যান্য ডাক্তার ও নার্সদেরও পর্যায়ক্রমে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের গাইনী ও মেডিসিন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা ওই নারী দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। পরিবারের লোকজন তথ্য গোপন করায় এখন ডাক্তার ও নার্সরা আতঙ্কে রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,ওই নারীর পজেটিভ ধরার পর আমরা তার সান্নিধ্যে আসা গাইনী চিকিৎসক ও তিনজন নার্সকে হোমকোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা যারা এই চিকিৎসক ও নার্সদের সান্নিধ্যে এসেছি তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করা হবে। তিনি বলেন,ওই নারীর পরিবার তথ্য গোপন করায় দুটি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ অনেক মানুষ এখন ঝূঁকিতে আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,সুনামগঞ্জের নারীর শরীরে রোববার পরীার পর করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। যেহেতু আক্রান্ত নারী ওসমানী মেডিকেলের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাই এ বিভাগ ১৪দিনের জন্য বন্ধ রাখা হতে পারে বলেও তিনি জানান।