বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে এপ্রিলের শেষে! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞের

প্রফেসর জিন্নাত আলী ।।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে এপ্রিলের শেষে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট কে শ্রীনাথ রেড্ডি। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা WHO’র কোভিড সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যও। মঙ্গলবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেড্ডি জানান, ভারতে সংক্রমণ সূচকের ঊর্ধ্বগামিতা শ্লথ হলেও এপ্রিলের শেষ নাগাদ তা শীর্ষ বিন্দুতে পৌঁছতে পারে।

রেড্ডি বলেন, “ভাইরাসের ধর্ম মিউটেট করা। ভারতে করোনা ভাইরাসের যে প্রকৃতি তাতে সামান্য কিছু এদিক-ওদিক হতেই পারে। ভাইরাসটি ভারতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে পড়েছে, গবেষণায় এমন কোনও তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে আমি অন্তত শুনিনি। গবেষণার ফল জানার জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।” যদিও রেড্ডি আশা প্রকাশ করেছেন, অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এই করোনা ভাইরাসও প্রবল গরমে কাহিল হয়ে পড়বে। তবে গবেষণার ফল না জানা পর্যন্ত এ কথা বলা ঠিক হবে না বলেই তিনি মনে করেন।

অন্যান্য দেশের মতো ভারতে করোনা স্টেজ থ্রিতে পৌঁছেছে কিনা সেটাও এখনও বলার সময় আসেনি বলে জানান রেড্ডি।

এই কাজের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে বলে তিনি জানান। লকডাউনের দিন বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেই রেড্ডি বলেন, “চেন পুরো ভাঙা সম্ভব না হলেও অন্তত ভাইরাস ট্রান্সমিশনের গতি কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে লকডাউন। আসলে লকডাউন স্বাস্থ্য ও নানা সামাজিক পরিকাঠামো প্রস্তুত করার জন্য সরকারের হাতে মূল্যবান সময় তুলে দিচ্ছে। যা মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে একান্তই প্রয়োজন। এবার পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল বদলে বদলে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে এপ্রিলের শেষে! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞের

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
প্রফেসর জিন্নাত আলী ।।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে এপ্রিলের শেষে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট কে শ্রীনাথ রেড্ডি। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা WHO’র কোভিড সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যও। মঙ্গলবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেড্ডি জানান, ভারতে সংক্রমণ সূচকের ঊর্ধ্বগামিতা শ্লথ হলেও এপ্রিলের শেষ নাগাদ তা শীর্ষ বিন্দুতে পৌঁছতে পারে।

রেড্ডি বলেন, “ভাইরাসের ধর্ম মিউটেট করা। ভারতে করোনা ভাইরাসের যে প্রকৃতি তাতে সামান্য কিছু এদিক-ওদিক হতেই পারে। ভাইরাসটি ভারতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে পড়েছে, গবেষণায় এমন কোনও তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে আমি অন্তত শুনিনি। গবেষণার ফল জানার জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।” যদিও রেড্ডি আশা প্রকাশ করেছেন, অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এই করোনা ভাইরাসও প্রবল গরমে কাহিল হয়ে পড়বে। তবে গবেষণার ফল না জানা পর্যন্ত এ কথা বলা ঠিক হবে না বলেই তিনি মনে করেন।

অন্যান্য দেশের মতো ভারতে করোনা স্টেজ থ্রিতে পৌঁছেছে কিনা সেটাও এখনও বলার সময় আসেনি বলে জানান রেড্ডি।

এই কাজের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে বলে তিনি জানান। লকডাউনের দিন বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেই রেড্ডি বলেন, “চেন পুরো ভাঙা সম্ভব না হলেও অন্তত ভাইরাস ট্রান্সমিশনের গতি কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে লকডাউন। আসলে লকডাউন স্বাস্থ্য ও নানা সামাজিক পরিকাঠামো প্রস্তুত করার জন্য সরকারের হাতে মূল্যবান সময় তুলে দিচ্ছে। যা মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে একান্তই প্রয়োজন। এবার পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল বদলে বদলে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।